Risingbd:
2025-04-11@18:36:45 GMT

মায়ের ওপর বড় কোনো শেফ নাই

Published: 8th, February 2025 GMT

মায়ের ওপর বড় কোনো শেফ নাই

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘‘আজকের অনুষ্ঠানে অনেক শেফের কথা বলা হলেও কিন্তু আমি মনে করি প্রতিটি বাড়িতে এক একজন শ্রেষ্ঠ শেফ রয়েছে। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মায়ের ওপর বড় কোনো শেফ হয়? কিন্তু অনেক সময় বিজ্ঞাপনে যখন দেখানো হয় মায়ের রান্নার মতো স্বাদ, মায়ের রান্না যখন পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে তখন তা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।’’

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বনানীর মোস্তফা কামাল আতার্তুক পার্কে তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় ‘এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই’ শিরোনামে বাংলার ভোজ বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার উৎসব বাংলাদেশ সেফ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশীয় খাবারকে সংস্কৃতির অংশ উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আমাদের কাছে নতুন বাংলাদেশ এসেছে; আর নতুন দেশে তরুণরা আমাদের পথ দেখিয়েছে। এ তরুণদের সঙ্গে দেশীয় খাবারের পরিচয় করে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী প্রজন্ম যদি দেশীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত না হয়; তখন মনে হবে তরুণরা দেশে থেকেও যেন দেশে নাই। তাই দেশীয় খাবারের প্রতি সন্তানদের আগ্রহ সৃষ্টি করার দায়িত্ব প্রতিটি অভিভাবকের।’’

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। বৈশাখে ইলিশের ব্যান পিরিয়ড থাকে আর তখন ব্যাপকভাবে ইলিশ খাওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। আমাদের সংস্কৃতি হলো চৈত্র সংক্রান্তি। এ সময় মাছ-মাংস ছাড়া বিভিন্ন রকমের শাক দিয়ে রান্না করা হয় আর এগুলোই বাঙালি সংস্কৃতি।’’

ট্যুরিজম বোর্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘শেফ বলে নারীদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করা হচ্ছে। ঘরে রান্না করলে রাঁধুনী আর ড্রেস পরে রান্না করলে শেফ বলা হয়। এই যে পার্থক্য, তা আমাদের দূর করতে হবে।’’ শেফদের শিল্পীর মর্যাদা দানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি শেফ একেকজন শিল্পী। তাদের নিজস্ব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ফলে রান্নার বৈচিত্র্য দেখা যায়। তাই তারা শিল্পীর মর্যাদা প্রাপ্তির যোগ্যতা রাখে।’’

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (গ্রেড-১) আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের, এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল শাহিদ হোসেন শামীম।

উপদেষ্টা পরে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, লা মেরিডিয়ান, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ক্রাউন প্লাজা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, ওয়েস্টিন, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন ও সিক্স সিজনস হোটেলের এক্সিকিউটিভ শেফদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ষবরণ উৎসবে যেসব খেলায় মেতে ওঠেন পাহাড়ের মানুষ

বনে-জঙ্গলে জন্ম নেয় ঘিলালতা। সেই লতায় শিমজাতীয় বীজ পাওয়া যায়, যা পরিচিত ‘ঘিলা’ নামে। পাহাড়ের মানুষের নানা ঐতিহ্য-বিশ্বাসের সঙ্গে যোগ রয়েছে লতাটির। চাকমা লোকসাহিত্যের অমর প্রেমকাহিনি রাধামন-ধনপুদির একটি পর্বে ঘিলা সংগ্রহ ও ঘিলা খেলার বিবরণ রয়েছে। ধনপুদির অনুরোধে রাধামন অনেক দূর থেকে ঘিলা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। পরে ঘিলা খেলা নিয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

পাহাড়ে ঘিলা খেলার প্রচলন এখন তেমন নেই। তবে প্রতিবছর বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে এই খেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যকে স্মরণ করতে দেখা যায় পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে। এবারও যার ব্যতিক্রম হয়নি। কেবল ঘিলা খেলা নয়, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উৎসব ঘিরে পাহাড়ের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মানুষ এখন মেতে উঠেছে নাদেং, পত্তি, ফোর, বাঁশ খড়ম দৌড়, গুডুসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলায়।

বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব। পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বিজু, বিহু, বৈসুক, সাংগ্রাই, চাংক্রানসহ নানা নামে বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করে থাকেন। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই এসব ঘিরে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এবার ৩ এপ্রিল থেকে রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ সাত দিনব্যাপী বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু মেলা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থা, ক্লাব ও পাড়ার উদ্যোগে প্রত্যেক গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পাহাড়ের বাসিন্দারা জানান, ‘নাদেং’ হলো লাটিম নিয়ে খেলা। বিশেষ করে চাকমা ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই খেলাটি। দাড়িয়াবান্দা পাহাড়ে পরিচিত ‘ফোর’ নামে। ‘পত্তি’ বলা হয় বউচিকে। হাডুডুকে বলা ‘গুডু’। বর্ষবরণ-বর্ষবিদায়ে এ ছাড়া মহাসমারোহে আয়োজন করা হয় বলি খেলা। কোথাও কোথাও চলছে বাঁশ খড়ম দৌড়। এই দৌড়ে রণপা নিয়ে দৌড়ান প্রতিযোগীরা। উৎসবকে ঘিরে বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। যার মধ্যে রয়েছে খেংগরং, বাঁশি, ধুধুক ও শিঙা।

হাতে ঘিলা নিয়ে খেলায় মেতেছেন কয়েকজন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চৈত্রসংক্রান্তি বর্ষবিদায় উৎসব
  • গ্যাগারিন বিজ্ঞান উৎসবে রকেট মডেল তৈরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
  • বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা অনুষ্ঠিত
  • খাগড়াছড়িতে বৈসু’র বর্ণিল শোভাযাত্রা
  • কান উৎসবের মনোনয়নে চমক
  • ‘মঙ্গল’ নয়, ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ বলার দাবি হেফাজতের
  • মারমাদের মাহা সাংগ্রাইয়ের ছয় দিনব্যাপী উৎসবের শুরু
  • ইউনেস্কোকে ভুল সংশোধনে চিঠি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান হেফাজতের
  • নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকছে ২৭ নৃগোষ্ঠীও
  • বর্ষবরণ উৎসবে যেসব খেলায় মেতে ওঠেন পাহাড়ের মানুষ