দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে হারলেন কেজরিওয়াল, বিজেপিকে জানালেন অভিনন্দন
Published: 8th, February 2025 GMT
ভারতের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে নিজ আসন নিউ দিল্লিতে হেরে গেছেন আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ আসনে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী প্রভেশ ভার্মা। নির্বাচনের ফলাফলে বেশ ভালো ব্যবধানেই এগিয়ে গেছে বিজেপি।
পরাজয় মেনে বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জনগণের রায় মেনে নিলাম। আমি বিজেপিকে এই বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। জনগণ তাদের যে কারণে ভোট দিয়েছেন, সে প্রত্যাশা তারা পূরণ করবে বলে আশা করছি।’
কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে আমরা অনেক কাজ করেছি। আমরা শুধু একটি গঠনমূলক বিরোধী দল হিসেবেই ভূমিকা পালন করব না, বরং মানুষের মধ্যে থাকব এবং তাঁদের সেবা করে যাব।’
১৪ রাউন্ডের ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৪ হাজার ৮৯ ভোটের ব্যবধানে প্রভেশ ভার্মার কাছে হেরে যান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেসের প্রার্থী সন্দীপ দীক্ষিত ৪ হাজার ৫৬৮ ভোট পেয়েছেন।
এরই মধ্যে বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮টিতে জিতেছে এবং ৪০টিতে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি ৯টি আসনে জিতেছে এবং ১৩টিতে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস কোনো আসনেই এগিয়ে থাকতে পারেনি। দিল্লিতে সরকার গঠনের জন্য ৩৬টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়ে এখনো চলছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লি আসনে ৫৬ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট গণনার গতি-প্রকৃতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, দীর্ঘ ২৭ বছর পর দিল্লি দখল করতে চলেছে বিজেপি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ধ নসভ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের চেয়ে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের জন্য এত মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেছেন, শিগগির বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। গত বুধবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে নিউজ১৮-এর ফ্ল্যাগশিপ রাইজিং ভারত সামিটে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য রয়েছে। গণতন্ত্রের জন্যই নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমেই মনোনয়ন দেওয়া এবং তা নবায়ন করা হয়। আমরা আশাবাদী, তারা এ পথই অনুসরণ করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট জানায়, বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক দশকের পুরোনো সম্পর্ক জনগণ ধরে রেখেছে। ভারতের চেয়ে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের জন্য এত মঙ্গল চায় না। বিষয়টি ভারতের ডিএনএতেই রয়েছে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধু হিসেবে ভারত আশা করে, বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে; ঠিক কাজটি করবে।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়। বক্তৃতায় বৈঠকের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, বৈঠকে আমাদের প্রধান বার্তা– বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও অদ্বিতীয়। এটি জনগণের সঙ্গে জনগণের এবং আমি মনে করি, অন্য যে কোনো সম্পর্কের চেয়ে বেশি। এ সম্পর্ককে আমাদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে যে বার্তা আসছে, দেশটিতে আমরা যে মৌলবাদী প্রবণতা দেখছি, তা উদ্বেগের। সংখ্যালঘু হামলা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন এবং বৈঠকে উদ্বেগের বিষয়ে খুব খোলামেলা আলাপ হয়েছে।