ফরিদপুরে ইউপি সদস্যকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
Published: 8th, February 2025 GMT
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এক সদস্যকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে ভাঙ্গা আসার সময় তাঁর ওপর মুনসুরাবাদ গ্রামেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ওই ইউপি সদস্যের নাম আলমগীর মোল্লা (৪২)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মুনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীর মোল্লাকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন হামিরদী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর মোল্লা ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বাবর আলী মাতুব্বর। সর্বশেষ মাসখানেক আগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছিল। এর আগেও অসংখ্যবার দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে শনিবার ইউপি সদস্যের ওপর প্রতিপক্ষ আক্রমণ করেছে বলে জানা যায়।
ইউপি সদস্য আলমগীর মোল্লার বড় ভাই হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ভাঙ্গা বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা দেন আলমগীর মোল্লা। প্রতিপক্ষের নেতা বাবর আলী মাতুব্বরের বাড়ির সামনে এলে অতর্কিত ৩০–৪০ জন লোক বাবর আলীর নেতৃত্বে আলমগীরের গতিরোধ করেন। এরপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাঁরা তাঁর দুই হাত ভেঙ্গে দেন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চায়নিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী মাতুব্বরের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলমগ র ম ল ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন পোস্ট
নিজের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ পোস্ট দেন তিনি। নিজের ও স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন মির্জা ফখরুল।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে মির্জা ফখরুলের স্ত্রীর গুরুতর একটি রোগ শনাক্ত হয়। ওই বছর ১০ ডিসেম্বর তার অস্ত্রোপচারের নির্ধারিত দিন ছিল। এর দুই দিন আগে মধ্যরাতে বাসা থেকে আটক হওয়ার কথা স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল পোস্টে লেখেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন আমার স্ত্রীর অসুখ ধরা পড়ে, তখন আমার পৃথিবীটা এক মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল। তিনি আমাদের পরিবারের মূল স্তম্ভ বা ভরসা। এই পরিস্থিতিতে আমি যত দ্রুত সম্ভব তার অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিই। তার অস্ত্রোপচারের আগের দিন রাত তিনটায় আমাকে আমার নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী পুলিশ। আমার মেয়ে ঢাকায় ছুটে আসে। যখন আমার স্ত্রীর শরীরে অস্ত্রোপচার চলছিল, তখন আমি ছিলাম কারাগারে। আমার কন্যারা এবং চিকিৎসক জাহিদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন) ছাড়া আর কেউ তখন হাসপাতালে ছিলেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) ও আমার ভাইবোনেরা ফোনে খোঁজখবর রাখছিলেন।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী সবকিছু অসীম ধৈর্য ও হাসিমুখে মোকাবিলা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলা জটিল চিকিৎসার বিষয়টিই শুধু সহ্য করেননি, একই সঙ্গে প্রায় ৫০ বছর ধরে আমাদের পারিবারিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আজ (১০ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে তার চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে ছয় মাস পর আমাদের আবার যেতে হবে। আপনাদের দোয়া ও শুভকামনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
৩২ দিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে গত ৬ এপ্রিল স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির মহাসচিব।