বাংলাদেশের দর্শকেরা সহজেই দেশ–বিদেশের সিরিজ দেখতে পারেন নেটফ্লিক্সে। প্রতি সপ্তাহে কোনো একটি দেশ থেকে দর্শকেরা কোন সিনেমা–সিরিজগুলো বেশি দেখেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করে নেটফ্লিক্স। সেই তালিকায় দেশের দর্শকদের আগ্রহের সিনেমা–সিরিজ সম্পর্কে জানা যায়। এই তালিকায় দেশের দর্শকদের আগ্রহ দেখা গেছে, ভারতীয় সিনেমা ‘পুষ্পা ২’ ও কোরীয় সিরিজ ‘স্কুইড গেম’ নিয়ে।

মুক্তির পর গত ৫ ডিসেম্বর বক্স অফিসে ঝড় তোলে সুকুমারের সিনেমা ‘পুষ্পা ২’। সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিসে ৭৭২ কোটি রুপি আয় করে। এখনো রেকর্ড গড়েই চলেছে। সেই সিনেমাটি বাংলাদেশ থেকে নেটফ্লিক্স বেশি দেখছেন দর্শকেরা।

‘পুষ্পা ২’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যানফিল্ডে রূপকথার গল্প লিখল পিএসজি

ইতিহাস তো গড়া হয় ভাঙার জন্যই। লিভারপুল কখনই ইউরাপিয়ান কোন প্রতিযোগিতায় অ্যাওয়েতে প্রথম লেগ জেতার পর ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলে নক আউট থেকে বাদ পড়েনি। তবে এবার ফুটবল পন্ডিতরা আশংকা করছিলেন এমন কিছু হতে পারে। সেই শঙ্কার পূর্ণতা দিলেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। এই গোলরক্ষক আরেকবার ইতালিয়ান রক্ষণের মিথকে অম্লান করে পিএসজিকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুললেন।

প্রথম লেগে পার্ক দে প্রিন্সে আক্রমণের ফুলঝুরি বইয়ে দিয়েও ম্যাচটা ১-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল স্বাগতিক পিএসজিকে। তবে মঙ্গলবার (১১ মার্চ, ২০২৫) চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আর আগের ম্যাচের ভুল করল না প্যারিসের দলটি। আগেভাগেই গোল আদায় করে নিল। এরপর আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলা চলল। তবে গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। টাই ব্রেকের জন্য খেলা পেনাল্টি শুট-আউটে গেলে সেখানে লিভারপুলের জন্য রীতিমতো দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান দেন্নারুম্মা। পিএসজি ৪-১ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে নাম লিখিয়ে ফেলে শেষ আটে।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের চিরন্তন সত্য, লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ড প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্নের রাতের সমান। গতরাতেও এর ব্যতিক্রম হলো না। ম্যাচের ১২ মিনিটে পিএসজিকে উসমান দেম্বেলে এগিয়ে দিলেন বটে। তবে এরপর তাদের উপর রীতিমতো আক্রমণের বন্যা বসিয়ে দিল লিভারপুল। ভাগ্যিস চীনের প্রাচীর হয়ে সেই আক্রমণগুলো ঠেকিয়ে গেলেন দেন্নারুম্মা।

আরো পড়ুন:

অ্যানফিল্ডে জাদু দেখানোর অপেক্ষায় পিএসজি

পিএসজি হারল ‘বিশ্ব সেরা’ গোলরক্ষকের বিপক্ষে!

বিরতির পর তো অল রেডরা কেবল আক্রমণ করেই গিয়েছে। তবে স্বাগতিকদের সবচেয়ে বড় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে ভয়ংকর হতে দেয়নি প্রতিপক্ষ। মিশরীয় রাজাকে গোল করা থেকে বিরত রাখলেন পিএসজির পর্তুগিজ লেফট ব্যাক নুনো মেন্ডেস। প্যারিসের দলটিও বেশ কিছু আক্রমণ করেছে। তবে আগের ম্যাচে ৯টি সেভ করা আলিসন বেকার এই ম্যাচে করলেন ৭টি সেভ।

ম্যাচ টাইব্রেকারে গেলে পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটই জালে পাঠান। বিপরীতে দোন্নারুম্মা আটকে দেন লিভারপুলের নেওয়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট। এই দুটি শট নেন যথাক্রমে দারউইন নুনিয়েজ ও কার্টিস জোনস। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এই প্রথম অ্যানফিল্ড গ্যালারিকে এভাবে চুপ করিয়ে দিল কোন প্রতিপক্ষে।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ