ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে দুবাই যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
Published: 8th, February 2025 GMT
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণ নিতে চলতি সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান উপস্থিত থাকবেন। ১২তম এই আসরের প্রতিপাদ্য- ‘ভবিষ্যতের সরকার গঠন’।
সম্মেলনে ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১৪০টি সরকারি প্রতিনিধি দল, ৬ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী ও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। আয়োজকদের প্রত্যাশা, গত বছরের তুলনায় এবারের আসরে উপস্থিতি বাড়বে ৫০ শতাংশের বেশি।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। যা সকলের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সরকারি অগ্রগতিতে ন্যায়সম্মত উন্নয়নে উৎসাহিত করে। সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, মিডিয়া, বিমান চলাচল, পরিবহন ও পর্যটন সহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক খাতের উপর আলোচনা করবেন।
ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম দেশটিতে যাচ্ছেন ড.
দুবাইয়ের ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজিম তালুকদার বলেন, যেহেতু আমিরাতের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক হবে; আমাদের আশা- সেখানে তিনি বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরে নিরসনের উদ্যোগ নেবেন।
শারজাহ প্রবাসী ব্যবসায়ী ও সংগঠক শাহাদাত হোসেন বলেন, আমিরাতে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা আছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়িরাও তাদের প্রতিষ্ঠানে দেশীয় শ্রমিক নিতে চান। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে ভিনদেশী শ্রমিক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে। শ্রমিক ভিসার সমাধান করা গেলে আমাদের রেমিট্যান্স বাড়বে।
এর আগে গত মাসে দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপার্সন শেখ লতিফা বিনতে মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে : সাখাওয়াত
ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রধান হাতিয়ার মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আওয়ামী লীগ পার্শ্ববর্তী দেশের সাম্রাজ্যবাদী থাবার মাধ্যমে তারা আবারও ক্ষমতা আসতে চায়।
আমরা বলে দিতে চাই কোন অপশক্তি সাম্রাজ্যবাদীর কাছে বাংলাদেশের জনগণ মাথা নত করে নাই। আর ভবিষ্যৎও করবে না। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে।
গত জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই ছাত্র জনতা আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ রক্ত দিয়েছে। তারা আর রক্তের সাথে বেঈমানি করবে না। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ভারত।
বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারোটায় বন্দর ২৩নং ওয়ার্ডের একরামপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বন্দর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌরসভা হয়ে কবিলের মোড় দিয়ে ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ রেললাইন হয়ে নবীগঞ্জ বাজার দিয়ে কাইতাখালী হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দেউলী চৌরাপাড়া এসিআই গেইটের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের পক্ষে না থেকে একটি স্বৈরশাসকের পক্ষ নিয়েছে। আমরা ভারতকে বলে দিতে চাই এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য আপনাদেরকে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে থাকতে হবে। কোন স্বৈরাচারীর পক্ষে আপনারা দিক নির্দেশক হিসেবে পরিচালিত হবেন না।
সাখাওয়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আজকে ভারত চাচ্ছে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন ধরনের অকারেন্স করে তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপাতে।
শুধু তাই নয় অন্তবতী সরকারকে তারা বিভিন্নভাবে বদনাম করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান আমরা সবাই ভাই ভাই। আমরা কুচুক্তি মহলের কোন হঠকারী সিদ্ধান্তের ফাঁদে পা দিব না। আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী যেন আবারও মাথাচাড়ান দিয়ে না উঠতে পারে। তার জন্য পাড়া মহল্লায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ্ আহম্মদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ আলী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাজী নজরুল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, হাবিবুর রহমান মাসুদ, সম্রাট হাসান সুজনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।