Samakal:
2025-02-08@12:39:57 GMT

একুশের গল্পে ‘ভুলিনি সেদিন’

Published: 8th, February 2025 GMT

একুশের গল্পে ‘ভুলিনি সেদিন’

মিশা বাবা-মায়ের সঙ্গে বিদেশ থাকে। বছরে দু-একবার দেশে এলে চাচাতো ভাইবোনদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে এবং দাদিমার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে তার সময় কেটে যায়। এবার মিশা এসেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। তার খুব ইচ্ছে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানে দেশে এসে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার। নানান কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তাই সে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে মাথায় রেখে ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে।

এ দিবসকে ঘিরে কী করা যায় তা নিয়ে চাচাতো ভাইবোন দীপা আর মিতুলের সঙ্গে আলাপ করে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে এত উচ্ছ্বাস নেই মিতুলের। একুশের ইতিহাসটাও সে ঠিকমতো জানে না। 

মিশা নিজেও তো ইংরেজি মিডিয়ামে পড়েছে। তবুও সে ইতিহাস জানে। আসলে জানতে চাইলেই জানা যায়। এমনই গল্পে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) আজ শনিবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘ভুলিনি সেদিন’।
রবিউল আলমের রচনায় প্রযোজনা করেছেন শাহ জামান মিয়া। অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, তন্ময় বিশ্বাস, মাইশা, মিলি বাসার, আশরাফ টুলু, সামিয়া নাহিসহ আরও অনেকে। 
দিলার জামান বলেন, ‘নাটকের গল্প অসাধারণ। নির্মাণও ভালো ছিল। এতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। আশা করছি, নাটকটি সবার ভালো লাগবে।’ 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সংবিধানসহ ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে আলাদা আলাদা ছয়টি ফাইলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

ছয়টি কমিশন হলো- সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করে সরকার।

গত ১১ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়া ছয়টি সংস্কারে কমিশনের মধ্যে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র সচিব সফর রাজ হোসেনকে।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। দুদক সংস্কার কমিশনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে প্রধান করা হয়।

আবার এই কমিশনগুলোর প্রধানদের নিয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যেটির প্রধানের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সদস্য সচিব হন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

এর আগে, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐতমত্যে পৌঁছাতে একটি বৈঠক শুরু হবে। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. ইউনূস।

বৈঠকে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। তবে, রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকলে এ আলোচনা পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া যাবে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ