সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
Published: 8th, February 2025 GMT
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকেই গাজীপুর এলাকাসহ সারা দেশে এই অভিযান শুরু হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
শুক্রবার রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জামায়াতের
আইনশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় কল্যাণ নেই।
সবাই মিলে জোর দাবি তুলি, গত ১৫ বছরে যারা খুন-গুম, লুটপাট, দুর্নীতি, বিশেষ করে চব্বিশের গণহত্যা করেছে, দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ও সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ভাষণের ‘প্রতিবাদে’ গত বুধবার রাত থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ সারাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অন্তত ৫০ নেতার বাড়িঘরে হামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত তিন দিন ধরে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, তা বিবেক ও দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে অনেকটাই সমর্থনযোগ্য নয়। এসব কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই দায়িত্বশীল নাগরিক সম্পৃক্ত হতে পারেন না।
দায়িত্বশীল কেউ সহিংসতার পক্ষে নয়: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি শুক্রবার বিবৃতিতে বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই যেন সহিংসতা না ঘটে। জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপ্লব, আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা। হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ দায়িত্বশীল কেউই সহিংস আন্দোলনের পক্ষে নয়।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বিবৃতিতে বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে দেশের সব বিক্ষুব্ধ জনতা ও দেশপ্রেমিক জনগণকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সব দেশপ্রেমিক জনগণের দায়িত্ব।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখার প্রতীক্ষায় সবাই। অন্যদিকে বসে নেই দেশবিরোধী অপশক্তি, তার দোসর ও পরিকল্পনাকারীরা। জনতার জাগরণের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। আশঙ্কা হচ্ছে, চলমান আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে ভয়ংকর চাপের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।