‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়াও জড়িত। তারা সারা পৃথিবীকে বোঝাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে যা হয়েছে তা আসলে গণ-অভ্যুত্থান নয়। এটা বড় রকমের চক্রান্ত।’ এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান’ শিরোনামের একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন ‘যাঁরা ভাবছেন বিপ্লব জুলাই-আগস্টের ২১ দিন, এটা ভুল। তার আগেও ১৫ বছর ধরে লড়াই হয়েছে। আরও ১৫ বছর সংগ্রাম করতে হবে। আমরা একটু থেমে যাব, ওরা আবার মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করবে। এটা যাতে না হয়।’

সাংবাদিক জি এম রাজীব হোসেনের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জঙ্গি নেতা’ হিসেবে উপস্থাপনের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম জড়িত।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং পতিত স্বৈরাচার, চোরতন্ত্রের জননী ও গুমের জননী চাচ্ছেন বাংলাদেশের ন্যারেটিভকে (বয়ান) চ্যালেঞ্জ করতে। তাঁরা বলছেন, তিন হাজার পুলিশ মারা গেছে, তাঁদের ওয়েবসাইটে অধ্যাপক ইউনূসকে জঙ্গিদের নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এটা খুবই পরিকল্পিত অপপ্রচার। এর সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়াও জড়িত। 
শেখ হাসিনার অলিগার্কেরা মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। তারা সারা পৃথিবীকে বোঝাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে যা হয়েছে তা আসলে গণ-অভ্যুত্থান নয়। এটা বড় রকমের চক্রান্ত।

প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণা ও লেখা প্রকাশিত হয়নি। যে আফতাব আহমেদ বাসন্তীর ছবি তুলেছেন, তিনি রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। কেউ তদন্ত করেনি। রক্ষীবাহিনীর হাতে ৩০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল। ১৫ বছর ধরে ইতিহাস মুছে নতুন ইতিহাস চাপানোর চেষ্টা হয়েছে। শোষণ করার মূল হাতিয়ার ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়া। যে নিপীড়নকারী, সে নিজেকে নিপীড়নের শিকার বলে জাহির করেছে।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে গবেষণার মাধ্যমে ১৫ বছরের ভয়াবহতাকে তুলে ধরা। আমরা প্রতিটি ক্যাম্পাসে সেমিনার করব। প্রতিটি দেয়ালে সে যে অন্যায় অবিচার করেছে, সেটা আমরা লিখে রাখব, যাতে বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচার এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা ফিরে আসতে না পারে। এটা আমাদের করতে হবে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ড ইউন স ১৫ বছর আওয় ম ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

কলারোয়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় জনতা ইব্রাহিম নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কলারোয়া পৌরসভাধীন গোপীনাথপুর যুগীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটক যুবক মো. ইব্রাহিম গাজী (২১) গোপীনাথপুর গ্রমের মৃত শহর আলী গাজী ও ফাতেমা বেগমের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণের শিকার শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী ১২ বছর বয়সী ওই শিশুর পিতা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। গিতা মারা যাওয়ার পর তার মা অন্যত্র বিয়ে করে বর্তমান স্বামীর সংসার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় বাক প্রতিবন্ধী ওই শিশু তার নানার বাড়ি গোপীনাথপুরে থাকে। ধর্ষক ইব্রাহিম গাজীর বাড়িও ওই শিশুটির নানার বাড়ি পাশে। 

বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে বাক প্রতিবন্ধী ওই শিশুকে কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

বিষয়টি শিশুটির নানিসহ আশেপাশের লোকজন জানতে পেরে ধর্ষক ইব্রাহিম গাজীকে আটক করে কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমকে আদালতের মাধ্যমে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত ধর্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ