ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ঝাউদিয়ায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ কারণে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।  

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে উপস্থিত হন বিত্তিপাড়া, হরিনারায়নপুর, লক্ষ্মীপুর, মধুপুর, আব্দালপুর ও শান্তিডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। এসময় তারা ‘অবৈধ সিদ্ধান্ত মানি না, মানবো না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।

কর্মসূচির শুরুতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ‍“আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে চেয়েছিলাম।  বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কোনোভাবেই সড়ক ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না। তারা ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সড়ক অবরোধ করেছেন। এখন পুলিশ সুপার কিংবা জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানালে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে।” 

আরো পড়ুন:

নাটোরে মহাসড়কে বিক্ষোভ, বিএনপি নেতার কুশপুতুল দাহ

স্টল বরাদ্দের দাবিতে বরিশালে ফল ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “থানা স্থানান্তরের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” 

এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা অবিলম্বে ঝাউদিয়ায় স্থানান্তরের দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন শত শত এলাকাবাসী।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে এলএনজি আমদানি বন্ধের দাবিতে প্রচারাভিযান ও সমাবেশ

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি, ক্লিন এবং বিডাব্লিউজিইইডি এর যৌথ উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে এক প্রচারাভিযান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার এবং এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে পরিবেশবিদ, সমাজকর্মী, শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিকরা অংশ নেন এবং স্লোগান দেন "জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তিই আমাদের ভবিষ্যৎ!

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় এ প্রচারাভিযান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের বক্তারা এলএনজি আমদানির ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির বিষয়ে আলোকপাত করেন।

সমাবেশের আহ্বায়ক পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি -এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসন বলেন, এলএনজি আমদানি বন্ধ করতে এবং বাংলাদেশকে পরিবেশবান্ধব শক্তির দেশে পরিণত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির বাংলাদেশ গঠন করা এখন সময়ের দাবি। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ নিই, তবে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবো।

পরবর্তী পদক্ষেপ এই সমাবেশ ও প্রচারণা শুধু নারায়ণগঞ্জেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আয়োজকরা জানান,  এলএনজি আমদানি বন্ধের এই আন্দোলন আরও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় একযোগে কাজ করা হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, এই জ্বালানি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলএনজি পোড়ানোর ফলে বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মিথেন নিঃসৃত হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করে। পাশাপাশি, এলএনজি-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়বহুল হওয়ায় জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে সৌর ও বায়ু শক্তির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশব্যাপী সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সৌর ও বায়ু শক্তি ব্যবহার করে টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এতে শুধু বিদ্যুৎ সংকট সমাধানই হবে না, বরং আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি এর মহাসচিব মীযানুর রহমান, সোনারগাঁ কমিটির সহ-সভাপতি ফজলুল হক ভূইয়া, প্রতিবন্ধী, শিশু ও যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এম এ মহিন, ইমরানসহ আরও অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ