কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
Published: 8th, February 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ঝাউদিয়ায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ কারণে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে উপস্থিত হন বিত্তিপাড়া, হরিনারায়নপুর, লক্ষ্মীপুর, মধুপুর, আব্দালপুর ও শান্তিডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। এসময় তারা ‘অবৈধ সিদ্ধান্ত মানি না, মানবো না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।
কর্মসূচির শুরুতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে চেয়েছিলাম। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কোনোভাবেই সড়ক ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না। তারা ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সড়ক অবরোধ করেছেন। এখন পুলিশ সুপার কিংবা জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানালে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে।”
আরো পড়ুন:
নাটোরে মহাসড়কে বিক্ষোভ, বিএনপি নেতার কুশপুতুল দাহ
স্টল বরাদ্দের দাবিতে বরিশালে ফল ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “থানা স্থানান্তরের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা অবিলম্বে ঝাউদিয়ায় স্থানান্তরের দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন শত শত এলাকাবাসী।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ক্লাস শুরু ৪ মে
সংঘর্ষের জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।
তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের: তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানাননি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।