সবুজ বাংলাদেশ- এর উদ্যোগে শুক্রবার জলবায়ু পরিবর্তন ও যুব সক্ষমতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ছিল তরুণদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ রক্ষায় দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। 

প্রশিক্ষণটি রাজধানীর নয়াপল্টনের রাসবো চায়না টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০ জন তরুণ অংশ নেন। প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পরিবেশবিদ, জলবায়ু কর্মী এবং বিশেষজ্ঞরা, যারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন, গাছ রোপণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক দূষণ এবং অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। তরুণদের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যেখানে তারা কীভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে এবং নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে পারে, তা শিখতে পারেন।

প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন মাহি লাইফ গ্লোবাল মালেশিয়ার প্রধান নির্বাহী পরিচালক আবু সায়েম মাছুম, হাসিবুল হোসেন, আকাঙ্খিত গ্রহবিজ্ঞানী দৈনিক সমকালের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রবিউল হোসাইন রাজু, সবুজ বাংলাদেশের জলবায়ু টিমের ইয়ুথ রাকিবুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল কাফি প্রমুখ। 

মূখ্য প্রশিক্ষক আবু সায়েম মাছুম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তরুণরা পারে বিশ্ব জলবায়ুর সমস্যাগুলো তুলে ধরতে এবং সমাধানের পথ বের করতে।

সবুজ বাংলাদেশ- এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন বাবু এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা তরুণদের মধ্যে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হলে সবাইকে একত্রিত হতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ জলব য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাদ দিয়ে নতুন বছরের শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

বর্ষবরণের আয়োজন নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে কথা বলেন চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম। তিনি শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরেন।

আজহারুল ইসলাম  বলেন, “সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবারের শোভাযাত্রা হবে আনন্দময়।”

আরো পড়ুন:

কিরিবাতি থেকে বাংলাদেশ, পঁচিশের বর্ণিল বরণ

নববর্ষ: বিবিধ ভাবনা

এবারের বর্ষবরণে ২৮ জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে; শোভাযাত্রাটি ‘সবার হয়ে উঠবে’, এমনই মনে করছেন আয়োজকরা।

'মঙ্গল শোভযাত্রা’ নামটি বদল করার বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলার মধ্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল সেটি এবার থাকছে না। এই ধারাবাহিকতায় নতুন বাংলা বছর শুরুর তিন দিন আগে বদলে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোভাযাত্রাটির নাম।

২৩ মার্চ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলানোর আভাস দিয়েছিলেন।

বিষয়টি সমালোচনা শুরু হলে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেছিলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে নাকি তা পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। 

এর আগে তার দেওয়া ব্ক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ