হবিগঞ্জের পর চুনারুঘাট ও মাধবপুরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর
Published: 8th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। পৃথক পৃথক সময়ে ম্যুরালগুলো ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিমতলায় থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল এবং চুনারুঘাট উপজেলা শহরের শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাধবপুর উপজেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের স্মৃতিসৌধের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানে ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিমতলায় থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙার প্রাক্কালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন নেতৃত্ব দেন।
এ সময় তিনি বলেন, “হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ বিভিন্ন চিহ্ন রয়েছে। এসব ম্যুরাল ও চিহ্ন অচিরেই ভেঙে ফেলতে হবে। এদেশের মাঠিতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্ন থাকতে পারবে না।”
হবিগঞ্জ জেলা শহরের পর চুনারুঘাট উপজেলা শহরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে মানচিত্রের ছবি টানিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা শহরের শহীদ মিনারের পূর্বদিকে স্থাপিত ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এতে শত শত ছাত্রজনতা অংশ নেন।
তারপর শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাধবপুর উপজেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের স্মৃতিসৌধের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
এ সময় বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক তারেক রহমান বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অশুভ চিহ্ন বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলা হবে।”
ঢাকা/মামুন/টপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ ম জ ব র রহম ন র ম য র ল ম ধবপ র র স মন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজাদপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে উপজেলার মনিরামপুর এলাকায় বিএনপি অফিসের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী বলেন, “উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ১২, বাড়ি ভাঙচুর
কানাইপুরে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ৩০ বাড়ি ভাঙচুর
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, শাহজাদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহ্বায়ক আনিছুর রহমান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডা. এম এ মুহিত এবং কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অন্য সদস্য গোলাম সরওয়ারের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ নিয়ে সংঘর্ষটি হয় দুই পক্ষের মধ্যে । এসময় এলাকা জুড়ে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়।
গোলাম সরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, “নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কবর জিয়ারত করতে যাই। সেখান থেকে দলীয় কার্যালয়ে গেলে এম এ মুহিতের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন।”
এ বিষয়ে জানতে ডক্টর এম. এ মুহিতের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে নিজ দলের মধ্যে এমন হামলা সত্যিই দুঃখজনক। এ ঘটনায় তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ