ফার্মগেটে ৩ ককটেল উদ্ধার, নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি
Published: 8th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। পরে আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের পশ্চিম পাশের লেগুনাস্ট্যান্ড থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের পশ্চিম পাশের লেগুনাস্ট্যান্ডের ফুটপাতে একটি কালো ব্যাগের ভেতর থেকে তিনটি ককটেল দেখতে পায় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ককটেল উদ্ধার করে আগারগাঁও বাণিজ্য মেলার খোলা মাঠে নেয়। সেখানে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
শেরেবাংলা নগর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আজম বলেন, তিনটি ককটেল অক্ষতভাবে উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার জন্য আগারগাঁওয়ে একটি খোলা মাঠে নেওয়া হয়। পরে সেখানে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন, ফার্মগেট থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি ককটেল পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে ডিএমপির সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ন ষ ক র য় কর
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুকে বলাৎকারের দায়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশুকে বলাৎকারের দায়ে আব্দুর রহিম কালু (২৭) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম কালু বড়াইগ্রাম উপজেলার তালশো আল জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং নাটোর সদর উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৮ মে সন্ধ্যার পরে মাদরাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম কালু পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে মোটরসাইকেলে করে তার বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে বলাৎকার করে। পরে ওই শিক্ষক ভিকটিমকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিম কান্নাকাটি করে তার বাবাকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তার বাবা চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ওই বছর ২১ মে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা।
মামলার বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের জানান, চার বছর ধরে মামলার সাক্ষী গ্রহণ এবং শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ ওই মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুর উপস্থিতিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের আদেশ প্রদান করেন।