অনেকদিন পর আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের সিনেমা ‘মায়ানগর’ দিয়ে বড় পর্দায় শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর এই ছবিটি ২০২১ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয়। বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পেলো তার সিনেমা ‘মায়ানগর’। শুক্রবার সিনেমার প্রিমিয়ারে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।

শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি নতুন করে নিজেকে প্রমাণ দেওয়ার পরীক্ষায় পাস করলাম। ফেল তো করবই না কিন্তু কীভাবে পাস করলাম, সেটা মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। অনেক দিন থেকে অপেক্ষা করে বসেছিলাম। বারবার মুক্তির কথা হয়েও পিছিয়ে গেছে। তখন খানিকটা হতাশ হয়ে পড়ি কিন্তু যখন ইন্ডাস্ট্রি আমাকে খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছিল, সেই সময় এই ছবি এল। এখানে আমি কামব্যাক করলাম বলব না কিন্তু একটা ভালো কাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করলাম।’

অভিনেত্রীর মতে, ‘বর্তমানে অনেক ভালো ভালো বাংলা সিনেমা হচ্ছে। তবে আমাদের এই সিনেমাটা বর্তমান দিনের রাজনৈতিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে, অন্যরকমের গল্প বলবে। এই সিনেমা কলকাতা শহরের কিছু মানুষের গল্প।’

সিনেমার প্রিমিয়ারে প্রচুর দর্শক যে এসেছিলেন তা নয়। বেশ কিছু সিট ফাঁকা দেখে অভিনেত্রী বলেন, ‘সিটগুলো খালি দেখে আমার খুব মন খারাপ লাগছে। সব বড় বড় পরিচালকদের ক্ষেত্রে সব সিটগুলো ভর্তি থাকে তো।’

তারপর অভিনেত্রী তাঁর সহ-অভিনেতাদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন, ‘ভুল বললাম আমি আবার?’ তখন অবশ্য বাকিরা হালকা হাসেন। তারপরই অভিনেত্রী দর্শকদের অনুরোধ জানান, দর্শকদের ছবির বিষয়ে বলার জন্য।

নায়িকা বলেন, ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়াতে হবে এমন কোনও মাথার দ্যিবি কারো নেই, ভালো ছবির পাশে দাঁড়ান।’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ‘তরী’ সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন শ্রীলেখা মিত্রকে। এটি নির্মাণ করছেন রাশিদ পলাশ। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে সিনেমাটির শুটিং করতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: করল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ডিআরইউ সদস্য ও সন্তানদের দাবা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় প্রথবারের মতো ডিআরইউ সদস্য ও সন্তানদের দাবা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ডিআরইউ কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রথম গ্রান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

আরো পড়ুন:

ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

‘জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রধান অতিথি নিয়াজ মোর্শেদ ডিআরইউয়ের এই আয়োজনে তাকে সম্পৃক্ত করায় তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। সাংবাদিকদের কর্মব্যস্ততার মাঝেও এ ধরনের আয়োজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষ করে লেখাপড়ার পাশাপাশি দাবা প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি সদস্য সন্তানদের উৎসাহ প্রদান করেন। ভবিষ্যতেও ডিআরইউয়ের এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আবু সালেহ আকন বলেন, “সদস্য সন্তানরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সন্তানদের সুষ্ঠু মানষিক বিকাশে এবার প্রথমবারের মতো এই দাবা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।”

এ সময় তিনি বছরব্যাপী বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাও বলেন।

স্বাগত বক্তব্যে ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “বুদ্ধির খেলা দাবা। ডিআরইউয়ের সদস্য ও সদস্য সন্তানদের নিয়মিত ক্রীড়া আয়োজনের অংশ দাবা প্রশিক্ষণ। তবে সংগঠনের ৩০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম এই আয়োজন করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, এই আয়োজন প্রশিক্ষনার্থীদের চিন্তা, মেধা ও মননকে সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি এ বছর ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টেসহ অন্যান্য সব ক্রীড়া ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে।” 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার, ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য কাজী শহীদুল আলম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কামরুল হাসান, শেখ আব্দুল্লাহ, তাওহীদুল ইসলাম, ফয়জুল্লাহ মাহমুদ, নাহিদ তন্ময়, মনির হোসেন, তাসকিনা ইয়াসমিন ও গোলাম মোস্তফা।

প্রশিক্ষণে ১২ জন সদস্য ও ৩৭ জন সদস্য সন্তান অংশ নেন। প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ডিআরইউ কার্যালয় (৪র্থ তলায়) এক মাসব্যাপী এই দাবা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। 

প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন মো. শরীফ হোসেন ফিদে মাষ্টার।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ