স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও পুলিশ কমিশনার-জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি
Published: 8th, February 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান। একইসঙ্গে গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র—জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ওই দাবি জানানো হয়েছে।
শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটির গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে দ্রুত বিচার আইনে ফ্যাসিবাদীদের বিচার করতে হবে। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদ জব্দ করতে হবে। ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের দাবি জানান আলী নাসের খান। এ ছাড়া গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দ্রুতবিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিতে হবে। হামলার সময় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিলম্বে পৌঁছায়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট সাকিব, কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়াইব, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা ইউনিটের সদস্য মাস্টার আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর ইউনিটের সদস্য সুমন বারী, ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাবির ইউসুফ প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায় জনতা। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে মারধর করে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর তাদের দেখতে শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
এর আগেই শুক্রবার রাত তিনটার দিকে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তারা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ র দ ব সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
‘আন্দোলনে নিহত-আহতদের সহযোগীতায় বিশেষ অধিদপ্তর হচ্ছে’
‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সহযোগীতা ও আহতদের পুর্নবাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ অধিদপ্তরটিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সহযোগীতা করবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খামারি পরিষদ আয়োজিত খামারি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে সকল দপ্তরের সহযোগীতা হতাহতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “বিল-বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে বাওড়ের ইজারা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সতর্ক থাকতে হবে। তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায় দ্রুতই এর সমাধান হবে।”
স্থানীয় খামারি তরিকুল ইসলাম তুরকি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান ও ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গ্যাক্রিয়েল পিনেদাছ, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, এলডিডিপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, তানজির আলম রবিন, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ এবং শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের সদস্য সচিব ওসমান আলী।
ঢাকা/শাহরিয়ার/এস