ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালালে ভিডিও দেখে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) কোম্পানি লিমিটেডের যান চলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ শনিবার রাজধানীর কুড়িলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বিল্ডিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হাসিব হাসান খান বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিসীমা অতিক্রম করলে মামলা করার জন্য আমরা পুলিশকে বলব। মামলা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ভিডিও ক্যামেরাগুলো আমাদের কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টারে, আর এখানে সার্বক্ষণিক পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। সে জন্য আমরা একটা কেব্‌লের মাধ্যমে পুলিশের দপ্তরে সংযোগ দেব, যাতে তারা সেখানে বসেই তদারকি করতে পারে।’

আজ শনিবার রাজধানীর কুড়িলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বিল্ডিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে অনুপ্রবেশকালে ৩৩ রোহিঙ্গা আটক

বান্দরবানে আলীকদম সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা সদরের আমতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন নারী, ১০ জন পুরুষ ও ১৪ জন শিশু। তারা সবই রোহিঙ্গা। 

স্থানীয়রা জানান, গোপন সংবাদের ভত্তিতে আলীকদম উপজেলা সদরের আমতলী এলাকায় অভিযান চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি)। এসময় আমতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের অফিস তল্লাশি করে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ মোট ৩৩ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করে তারা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় মাদক ও জাল টাকার চালান জব্দ, রোহিঙ্গাসহ আটক ২

পশ্চিমবঙ্গে ৪ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

তারা আরো জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে মিয়ানমারের নাগরিকরা। মোটা অর্থের বিনিময়ে তাদের এই অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র। বাংলাদেশি দালাল চক্রের সহায়তায় জনপ্রতি ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রথমে পাহাড় ভাঙা পাড়া ও মাছকুম পাড়া হয়ে মেনলে পাড়া এলাকায় পৌঁছানো হয় তাদের। সেখান থেকে সিন্দু ও নিন্দু পাড়া হয়ে পোয়ামুহুরীতে পৌঁছে সবাইকে বাংলাদেশিদের মতো কাপড় পরিধান করানো হয়। পরে পোয়ামুহুরী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী হয়ে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব মিয়ানমারের নাগরিকদের।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, “আটক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ