সুপ্রিম কোর্টেও ম্যুরাল ভাঙার শঙ্কা, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা
Published: 8th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর চলছে দুদিন ধরে। ভাঙা হচ্ছে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও ম্যুরালও। এ অবস্থায় ম্যুরাল ভাঙার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এলাকায়ও হামলা হতে পারে এমন তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এজন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.
সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতের প্রত্যেকটি প্রবেশ মুখে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। চলমান রয়েছে তল্লাশি কার্যক্রমও।
গত ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে। এ ছাড়া ম্যুরালসহ বিভিন্ন দেয়ালে কালি দিয়ে লেখা হয়েছে স্বৈরাচার সরকারের পতনের নানা স্লোগান। তবে, গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতে বসে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সরাসরি প্রচার করা হয় সেই বক্তব্য। শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারকে ঘিরে ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ডাক দেয় একটি পক্ষ। এরপরই ওই বাড়ির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি, দলীয় কার্যালয়, শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক- ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে ফেলার পাশাপাশি গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনা ঘটছে।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: শ খ ম জ ব র রহম ন র
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জামায়াতের
আইনশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় কল্যাণ নেই।
সবাই মিলে জোর দাবি তুলি, গত ১৫ বছরে যারা খুন-গুম, লুটপাট, দুর্নীতি, বিশেষ করে চব্বিশের গণহত্যা করেছে, দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ও সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ভাষণের ‘প্রতিবাদে’ গত বুধবার রাত থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ সারাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অন্তত ৫০ নেতার বাড়িঘরে হামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত তিন দিন ধরে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, তা বিবেক ও দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে অনেকটাই সমর্থনযোগ্য নয়। এসব কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই দায়িত্বশীল নাগরিক সম্পৃক্ত হতে পারেন না।
দায়িত্বশীল কেউ সহিংসতার পক্ষে নয়: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি শুক্রবার বিবৃতিতে বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই যেন সহিংসতা না ঘটে। জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপ্লব, আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা। হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ দায়িত্বশীল কেউই সহিংস আন্দোলনের পক্ষে নয়।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বিবৃতিতে বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে দেশের সব বিক্ষুব্ধ জনতা ও দেশপ্রেমিক জনগণকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সব দেশপ্রেমিক জনগণের দায়িত্ব।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখার প্রতীক্ষায় সবাই। অন্যদিকে বসে নেই দেশবিরোধী অপশক্তি, তার দোসর ও পরিকল্পনাকারীরা। জনতার জাগরণের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। আশঙ্কা হচ্ছে, চলমান আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে ভয়ংকর চাপের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।