বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলেছেন, গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব বলেন তারা।  

এসব নেতাকর্মীরা বলেন, “গতরাতে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা পরিকল্পিত হামলা করেছে। তারা ছাত্রদের ট্যাপে ফেলে হামলা করেছে। গাজীপুর থেকেই আজ ফ্যাসিবাদের মূল উপড়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর জাহাঙ্গীর আলমের পালিত কুকুরেরা হামলা করেছে। আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়ি ভাঙচুরের অজুহাতে ছাত্রদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। সাধারণ মানুষ এভাবে হামলা করতে পারেনা।” 

তারা আরও বলেন, “হাসিনার প্রেতাত্মারা ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা খুবই হতাশাজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।” 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, অ্যাডভোকেট সাকিব, কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়াইব, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা ইউনিটের সদস্য মাস্টার আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর ইউনিটের সদস্য সুমন বারী, ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাবির ইউসুফ প্রমুখ।

এদিকে হামলার পর শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে হাসপাতালে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন একদল জনতা। এ সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাদের কয়েকজনকে আটক করে মারধর করেন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, ধানমন্ডিতে ভাঙচুরের ঘটনার পর আমরা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেছি কোথাও ভাঙচুর হলে আমাদের জানাতে। শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হয়। দ্রুত ১৫ জন ঘটনাস্থলে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় লুটপাট হচ্ছে। এতে বাধা দিলে পেছন হতে হুট করে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রাম দাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে বেধড়ক পেটায়, কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পেটায়। 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক নাবওল আহমেদ বলেন, “আমরা বহুবার পুলিশকে জানিয়েছি। তারা ঘটনার দুই ঘণ্টা পর এসেছে। যারা হামলা করেছে তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের লোক। তাদের হামলায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ১০-১২ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আমরা এই হামলার বিচার চাই, অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।” 

ওই ঘটনার পরে রাতেই শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও আহতদের স্বজনরা আহাজারি করে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ করেন।

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র করত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আবু জাফরের প্রতিবাদ

গত ৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ টাইমসে “বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত চেম্বারের ১৯ পরিচালক” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে প্রাইম গ্রুপ অব কোম্পানীজের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদের ছবি ও নাম ছাপা হয়েছিল। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘জেনারেল গ্রুপে নির্বাচিতরা হলেন-মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আবু জাফর, মাহবুবুর রহমান স্বপন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, গোলাম মুহাম্মদ কায়সার, মো. সোহাগ, মো. গোলাম সারোয়ার (সাঈদ), মো. মজিবুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তানিম তৌহিদ, আহমেদুর রহমান তনু, মো. হানিফ মিয়া, আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।’

এ বিষয়ে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আবু জাফর আহমেদ বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কিংবা জমা কোনটিই করিনি। এখানে যে নির্বাচন হয়েছে সেটিও আমি জানিনা কিংবা আমাকে কেউ জানায়নি পর্যন্ত। এবং নির্বাচন সংক্রান্ত কোন বিষয়ে আমার সাথে কেউ আলোচনাও করেনি। আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছি , যখন দেখলাম নারায়ণগঞ্জ টাইমস সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ