শারীরিক সুস্থতা চান, হাঁটুন। হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা এড়াতে চান, হাঁটুন। ওজন কমাতে চান, হাঁটুন। হাঁটা যেন মহৌষধ। প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস বলেছেন, মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট ওষুধ হচ্ছে হাঁটা। আধুনিক চিকিৎসকদেরও এমন অভিমত। তবে কতটুকু হাঁটবেন? কোথায় হাঁটবেন? দৈনন্দিন কত কদম হাঁটলে যথার্থ উপকারিতা পাওয়া যাবে? দেখে নেওয়া যাক গবেষণা কী বলছে।

প্রতিদিন কতটুকু হাঁটবেন

অ্যাথেরোস্কলেরোসিস জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা-নিবন্ধে বলা হয়েছে, সুস্বাস্থ্য রক্ষায় দৈনিক ১০ হাজার কদম হাঁটা উচিত।

তা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনব্যস্থতায় এই পরিমাণ হাঁটা কি সম্ভব? ঘর থেকে বেরোলেই বাহন। হাজারটা তাড়া। কর্মস্থলে, শপিংমলে যান্ত্রিক সিঁড়ি, লিফট। দুই কদম হাঁটার ফুরসত নেই যেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমতলে সরলরৈখিক হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি ভাঙা অধিক কার্যকর। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সিঁড়ি ভেঙে প্রতিদিন দুই থেকে তিনতলায় (প্রতি তলায় উঠতে ২০ থেকে ৩০টি সিঁড়ির ধাপ ধরা হয়) ওঠা উচিত। এতে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।

যেকোনো জায়গায় সুযোগমতো সিঁড়ি ভাঙতে পারেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুকে ধর্ষণের খবর শোনার পরদিন অসুস্থ বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের খবর শোনার পরদিন অসুস্থ বাবার মৃত্যু হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটির মামা এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিশুটির বাবা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রোববার বিকেলে তার মেয়ের এই ঘটনা শোনার পর থেকে তিনি আরও অসুস্থবোধ করতে থাকেন। সোমবার সকাল ১১টায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ভিকটিমের নানি বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার দু’জনের মধ্যে একজনের বয়স ১৭ বছর, আরেকজন ১৫। 

ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় সদর আধুনিক হাসপাতালে। সোমবার ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর মেয়েটিকে নানির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই কিশোরকে আপাতত জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পরে তাদের গাজীপুরের টঙ্গী শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মইনুল হাসান দুলাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে বাড়িতে খেলছিল শিশুটি। এক পর্যায়ে তাকে ১০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় দুই কিশোর। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে তারা। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে গেলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে মৌখিক অভিযোগ করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরকে আটক করে। পরদিন লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ