নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করা হলেও আজ শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো.

তামজিদ হোছাইন চৌধুরী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিজ বিভাগেরই এক ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটি এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য নিয়েছেন। কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের আলোকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দাপ্তরিক আদেশে বলা হয়, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সুপারিশ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ নীতিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী বিভিন্ন আইনি পর্যায় চলমান থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ন হয়র ন শ ক ষকক

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঘুমধুমসীমান্ত সড়ক ও স্থল বন্দরের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সীমান্ত সড়ক এবং সম্ভাব্য স্থল বন্দর নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন করেছি। এটি নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে সেখানে একটি স্থল বন্দর করা যায় কিনা তা বিবেচনায় রাখা হবে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি স্থল বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে নৌপথের চেয়ে স্থলপথ সুবিধাজনক জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ঘুমধুমের এশিয়ান ট্রান্সরোডটি দুই দেশের জন্য সহজ যোগাযোগের পথ।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফে আমাদের একটি বন্দর রয়েছে। সেখানে কিছু পণ্য আমদানি হলেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা সমাধান হবে।

টেকনাফ বন্দরকে স্থলবন্দর বলা হলেও এটি মূলত নৌবন্দরের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন সাখাওয়াত হোসেন।

উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দর বা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে উন্নত হতে পারে। তবে ঘুমধুম এলাকায় একটি স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ