নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় হুডি ও মুখে মাস্ক পরা দুজন জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হলেও তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনো মামলা করা হয়নি। গতকাল শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পূর্ব লালপুর এলাকায় মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় কালো হুডি পরা দুজন মামুন হোসাইনের বাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ঘটনার পর হুডি পরা সেই দুজনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

নিহত মামুনের বড় ভাই আমজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

আরও পড়ুনফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ‘গুলি’ করে হত্যা০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মামুন হত্যার ঘটনায় নিহত মামুনের পরিবার এখনো মামলা করেনি বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, হুডি ও মুখে মাস্ক পরা দুই যুবকই মামুন হত্যার সঙ্গে জড়িত। হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা স্থানীয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত হুডি পরা দুজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। শিগগিরই ঘাতকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘাতকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেই হত্যার প্রকৃত কারণ ও এটার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তা বেরিয়ে আসবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ 

গাজা ও রাফায় ইসরায়েলী বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের শ্রী শ্রী গোপাল জিউর বিগ্রহ মন্দিরের সামনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

এর পর ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিলটি মন্দির থেকে বের হয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ র‌্যালিতে অংশ নেয় তারা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কৃষ্ণ মোদক সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল চন্দ্র দাস, সহ-সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুশীল রায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি তিরোধ কুমার দাস, ফতুল্লা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন রুদ্র, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, মহানগরের দপ্তর সম্পাদক ভজন দাস, জেলার দপ্তর সম্পাদক অবিরায় সজল, জেলা প্রচার সম্পাদক তপন গোস সাধু, সহ প্রচার সম্পাদক তারেক দাস, ১৪ নং ওয়ার্ডের আহবায়ক বিশ্বজিৎ সাহা, মধুমালা, কারক ঘোষ, লপন ঘোষ, জুয়েল সাহা,বিশ্বজিৎ প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামের শ্বাশ্বত আদর্শই মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি : মমিনুল হক  
  • ফিলিস্তিনে ইসরায়েল এর হামলা ও জাতিসংঘের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ  
  • শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভয়ে স্ত্রীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে থানায় তরুণ
  • আমাদের সময়ের মফস্বল সম্পাদকের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধির শোক ও দোয়া কামনা
  • নাগরিক কমিটির নেতা দিলশাদ বহিষ্কার
  • নাগরিক কমিটির নেতা দিলশাদকে বহিষ্কার
  • জাতীয় নাগরিক কমিটির ফতুল্লা থানার নারী সদস্য বহিষ্কার, পুলিশে সোপর্দ
  • বিএনপি নেতা গাজী বাবুল’র মৃত্যুতে মামুন মাহমুদের শোক 
  • আমরা ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পক্ষে আছি : সাখাওয়াত 
  • ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ