Samakal:
2025-03-11@03:29:47 GMT

মেয়েদের অপেক্ষায় রাখার কৌশল

Published: 8th, February 2025 GMT

মেয়েদের অপেক্ষায় রাখার কৌশল

নারী ফুটবলারদের বিদ্রোহ শুরু গত ২৮ জানুয়ারি। কোচ পিটার বাটলারের অধীনে সাবিনা খাতুনদের অনুশীলন বয়কট গতকাল পর্যন্ত ছিল। সব মিলিয়ে ১১ দিন ট্রেনিংয়ের বাইরে নেপালে সাফজয়ী মেয়েরা। পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গড়িয়েছে, তাতে শিগগিরই অনুশীলনে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাদের। 

এই কয়েকদিন পিটার বাটলার ত্রিশের ওপর মেয়েকে নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য বাটলার স্কোয়াড চূড়ান্ত করবেন ৩৩ জনের মধ্য থেকে। যেখানে বিবেচনায় নেই বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার। তার মানে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চের ম্যাচে থাকছেন না সাবিনা খাতুন-ঋতুপর্ণা চাকমারা। 

অনুশীলনে না থাকায় তাদের ছুটিতে পাঠানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা আরও বাড়ার আশঙ্কা বেশি। তবে আমিরাত সিরিজে না রাখলেও মেয়েদের একেবারে ঝেড়ে না ফেলে অপেক্ষায় রাখার কৌশলে হাঁটছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাদের চলমান আন্দোলন সমাধানে ধীর চলো নীতিতে এগোতে চায় দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

গত মধ্য জানুয়ারিতে সাফজয়ী খেলোয়াড়রা বাফুফে ক্যাম্পে যোগ দেন। বাটলারের পাঠানো পরিকল্পনায় দেশীয় কোচদের অধীনে অনুশীলনও চালিয়ে যান তারা। দৃশ্যপটে বাটলার আসার পরই সাবিনার নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন মেয়েরা। যেটি এখনও চলমান। তাদের বিদ্রোহ এমন সময় শুরু হয়েছে, যখন আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচের সবকিছুই চূড়ান্ত করে ফেডারেশন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা বাংলাদেশ নারী দলের। 

*আমিরাত সফরে বাদ বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার
*সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ক্যাম্প থেকে বিদ্রোহী মেয়েদের ছুটি দেওয়া হতে পারে
*সিনিয়র কয়েক ফুটবলারের নাম উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, তারাই অন্য মেয়েদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
*কোচেরও বাংলাদেশের সংস্কৃতি, এই মেয়েদের মাইন্ডসেট– এই ব্যাপারে আরেকটু সচেতন হওয়া উচিত
*নারী উইং আরেকটু পেশাদার হতে পারত, এই ঘটনায় তাদের ব্যর্থতা চোখে পড়েছে।

সাবিনাদের আন্দোলনের কারণে সফরটি যেন নষ্ট না হয়, তাতে তড়িঘড়ি করে অনূর্ধ্ব-২০ বয়সী ফুটবলারদের ক্যাম্পে ফেরাতে থাকে ফেডারেশন। এটা তাদের প্ল্যান ‘বি’র একটি অংশ। ২০ দিনও বাকি নেই আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ হতে; একই সঙ্গে বিদ্রোহী ফুটবলারদের সঙ্গে সমঝোতাও এখন পর্যন্ত হয়নি, তাই বাটলারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাকিদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত দল গঠন করতে। 

নিজেদের এমন পরিকল্পনার কথা শুক্রবার সমকালের সঙ্গে বলেছেন বাফুফের এক কর্মকর্তা, ‘সত্যি বলতে কী বর্তমান যে পরিস্থিতি আর অনুশীলনের মধ্যে না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এই মেয়েরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের দলে ঢুকতে পারবে না। কোনো কারণে সব ঠিক হয়ে গেল, কালকে থেকে ওরা ট্রেনিং শুরু করল, সেটা হলে অন্য কিছু হতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে এদের আরব আমিরাত দলে ঢোকা খুবই কঠিন।’ 

বিদ্রোহী ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জনই ছিলেন নেপালে সাফ শিরোপাজয়ী দলে। তাহলে এত অভিজ্ঞ ফুটবলারদের বাদ দিয়ে খেলাটা কতটা যৌক্তিক? ‘ওরা ট্রেনিংয়ে নেই। এই ক্ষেত্রে সভাপতিরও করার কিছু আছে বলে দেখছি না আমি।’

মেয়েদের বাদ দিলে পরিস্থিতিতে যে আরও ঘোলাটে হবে, তা বুঝতে পারছেন বাফুফে কর্তারা। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার নারী ফুটবল দলকে একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন করার পর তো কৌশল পরিবর্তন করতে হচ্ছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। বিশেষ কমিটির রিপোর্ট এখন সভাপতি তাবিথ আউয়ালের টেবিলে। তাঁর এখতিয়ার আছে এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু সামনে যেহেতু আমিরাত সফর, তাই অনেক কিছু ভেবেই এগোতে হচ্ছে ফেডারেশনকে। 

বিশ্বস্ত সূত্রে যতটুকু জানা গেছে, ছুটিতে পাঠানোর আগে মেয়েদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করবে বাফুফে। তাদের বোঝানো হবে যেহেতু তারা ট্রেনিংয়ের মধ্যে নেই, আমিরাতের মতো দলের বিপক্ষে খেলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত নন তারা। তাই আমিরাত সফরে নতুনদের পরখ করে দেখবে বাফুফে। আর মেয়েদের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়েও আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখবে ফেডারেশন। যেহেতু সমস্যাটা বাটলারকে ঘিরে, তাই বাফুফে চাচ্ছে আমিরাত সফর শেষ করে এ সমস্যার সুরাহা করতে। আবার এমনও হতে পারে এর আগেই কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাফুফে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল আম র ত স পর স থ ত ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউএনডিপির সঙ্গে কাজ করবে জাপান

কক্সবাজারে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি’র (ইউএনডিপি) সঙ্গে কাজ করবে জাপান সরকার।

ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাসে সোমবার (মার্চ ১০) এই উদ্দ্যেশ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই পক্ষ।  

“সাস্টেনেবল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” নামে এই প্রকল্পটি কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মাঝে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবস্থার উন্নতি সাধন করে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে এবং এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করবে।

স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ১ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ ও ৬০ হাজার স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ১.৫ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তা করবে জাপান সরকার। তাকাহাশিনাওকি, জাপানের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও শরণার্থী শিবিরের কাছে অবস্থিত স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন তাকাহাশি নাওকি।

তাকাহাশি আশা ব্যক্ত করেন, “রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পটি সাজানো হয়েছে। আমি আশা করি, এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে বর্জ্য বিষয়ক জনসচেতনতার পাশাপাশি, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি হবে এবং তাদের অর্থ উপার্জনের পথও তৈরি হবে। দিনশেষে এটি একটি স্বাস্থ্যকর, লিঙ্গ ও জলবায়ু উপযোগী সামাজিক বাস্তুসংস্থান তৈরিতে সাহায্য করবে। জাপান এই ধরনের টেকসই উদ্যোগে জড়িত থাকতে সবসময় আগ্রহী। তাই নিজেরা সহায়তা করার পাশাপাশি ইউএনডিপি’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে এসব বিষয়ে সহযোগিতা করে যাবে।”

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার অংশীদারমূলক কাজের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন,  “টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু মানুষের জন্য না, পরিবেশের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাপান-ইউএনডিপি’র অংশীদারমূলক কাজ শুধুমাত্র বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য না, বরং ভবিষ্যতেও মানুষ কিভাবে পরিবেশের ক্ষতি না করে বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেইটা নিয়ে কাজ করবে। কক্সবাজারে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় জনগণের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আমরা কাজ করব।”

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে। নতুন এই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি দেশটি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকার, ইউএনডিপি ও জাতিংসঘের অন্যান্য সংস্থার ও নানা জাতীয় সংস্থাকে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে সহায়তা করেছে।

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ