কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই গ্রামের আরফান মেম্বার ও ছাত্তার মিয়া গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।  

স্থানীয়রা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের মিঠামইন হাসপাতাল থেকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাওড়ে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার তিনদিন পূর্বে এ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গতকাল শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

উল্লেখ্য, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষেই অভিযোগ দায়ের করেননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ দ ই গ র প র স ঘর ষ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, প্রক্টরসহ আহত ৮

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। এতে প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেনসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি যবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাস কমিটি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এ কমিটি চান না। এ নিয়ে গত দুদিন ধরে ক্যাম্পাসে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি চায়ের দোকানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়।

বিষয়টি মীমাংসা করতে দুই পক্ষ প্রক্টর অফিসে যায়। সেখানে গেলে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। এতে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ক্যাম্পাসে কয়েক দফা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে প্রক্টরসহ অন্তত ৮ শিক্ষার্থী আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এখন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ