সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে ১২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড সদর দফতরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.

সিয়াম-উল-হক। আটক মুজিবুর রহমান (৫৩) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এ ব্যাপারে সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘শনিবার ভোরে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমপাড়ায় এক ব্যক্তির বসতঘরে মাদকের বড় একটি চালান মজুতের খবরে কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালায়। সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে এক ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টা চালান। সে সময় ধাওয়া দিয়ে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়। পরে আটক ব্যক্তির বসতঘর তল্লাশি করে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় একটি বস্তার ভেতর থেকে ১২ হাজার ২৭৪টি ইয়াবা পাওয়া যায়।’

আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

এনজে

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫০ দোকান, গুদাম ও বসতঘর

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে ফলের আড়ত, দোকান, বসতঘর ও ঝুট কাপড়ের গুদাম। আজ রোববার বিকেলে আমিন জুট মিলের বিপরীতে মুরাদপুর সড়কের পাশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি অংশ নিয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে অন্তত ৫০টি দোকান, ঘর ও গুদাম পুড়ে গেছে। এর মধ্যে মুদিদোকান, পানদোকান, ফলের আড়ত, প্লাস্টিকের গুদাম, ঝুট কাপড়ের গুদাম, পোলট্রি ও গোখাদ্যের গুদাম রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, তারা বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায়। এরপর ছয়টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ঝুট কাপড়ের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আগুন লাগার পর মুরাদপুর–অক্সিজেন সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তার পাশের দোকানগুলোর পেছনে প্লাস্টিক, ঝুট কাপড়, মুরগি ও গোখাদ্যের গুদাম রয়েছে। গুদামের দিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০টি দোকান, গুদাম ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি সেখানে কাজ করছিল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোয় কলা, আপেলসহ নানা ফল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। দোকানের দিক থেকে আগুন নিভে গেলেও দোকানগুলোর পেছনে বসতঘর ও গুদামে আগুন জ্বলছিল।

মন্টু সওদাগার নামে এক আড়তদার বলেন, আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে তাঁর বেল, কলা ও আপেল পুড়ে গেছে। কিছু বের করা যায়নি। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

বশির উদ্দিন নামের অপর এক দোকানি বলেন, দোকানের পেছনের দিকে গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেলা দুইটার পরপর আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে আগুন আরও বড় হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোড়া ভিটায় ফিরছেন ক্ষতিগ্রস্তরা, ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
  • চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫০ দোকান, গুদাম ও বসতঘর