বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের উপজেলার ৫নং ব্রিজের ধলাটেংগুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই বন্ধু হলেন- রাকিব (২৬) ও রিজভী (২৮)। তারা টাঙ্গাইলের নগরজৈলফে এলাকার বাসিন্দা বলে তাৎক্ষণিক জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, যমুনা সেতু এলাকা থেকে তারা মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মহাসড়কের উপজেলার ৫নং ব্রিজের ধলাটেংগুর এলাকায় পৌঁছুলে উত্তরবঙ্গগামী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাইজ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী লেনে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ঢাকাগামী যানবাহন ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়ায় দু’জনের পদ স্থগিত

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মিয়ার হাত-পা ভেঙে দেওয়ায় দুই নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। তারা হলেন, একই ইউনিয়নের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদার। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারা নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরে রোববার রাতে বোরহান তালুকদারের নেতৃত্বে লোহার রড, হকিস্টিক, রামদা দিয়ে পিটিয়ে বাবলু মিয়ার দুই হাত ও দুই পায়ের হাড় ভেঙে ফেলা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাতেই ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

হামলার ঘটনার পর সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রেজা তালুকদার এবং তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদারের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হক স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়। 

চিঠিতে বলা হয়, রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ কারণে তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখতে দলের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা সাড়া দেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ