হামলায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে হাসনাত-সারজিস
Published: 8th, February 2025 GMT
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে তারা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। তাদের খোঁজখবর নেন। হামলার সঠিক বিচার হবে বলেও তারা আশ্বাস দেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি কয়েকজনকে আটক করে মারধর করেন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও আহত শিক্ষার্থীরা বলেন, “ধানমন্ডি ভাঙচুরের ঘটনার পর আমরা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেছি কোথাও ভাঙচুর হলে আমাদের জানাতে। শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হয়। দ্রুত ১৫ জন ঘটনাস্থলে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় লুটপাট হচ্ছে। এটি বাঁধা দিলে পেছন হতে হুট করে অনেক মানুষ জড় হয়ে যায়। মুখ বাঁধা কিছু লোক হাতে রাম দা হাতে তাদের উপর হামলা করে। অনন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে সাদে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।”
ঢাকা/রেজাউল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আন্দোলনে নিহত-আহতদের সহযোগীতায় বিশেষ অধিদপ্তর হচ্ছে’
‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সহযোগীতা ও আহতদের পুর্নবাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ অধিদপ্তরটিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সহযোগীতা করবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খামারি পরিষদ আয়োজিত খামারি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে সকল দপ্তরের সহযোগীতা হতাহতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “বিল-বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে বাওড়ের ইজারা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সতর্ক থাকতে হবে। তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায় দ্রুতই এর সমাধান হবে।”
স্থানীয় খামারি তরিকুল ইসলাম তুরকি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান ও ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গ্যাক্রিয়েল পিনেদাছ, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, এলডিডিপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, তানজির আলম রবিন, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ এবং শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের সদস্য সচিব ওসমান আলী।
ঢাকা/শাহরিয়ার/এস