৭ গোলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়, জিতেছে ব্রাজিলও
Published: 8th, February 2025 GMT
এক ম্যাচে গোল হয়েছে ৭টি, আরেকটিতে ১টি। দুই ম্যাচেই জয়ের ব্যবধান এক গোলেরই। আজ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বল্প ব্যবধানের এই জয় দুটি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের।
ক্লদিও এচেভেরি ও মরিসিও কারিজ্জোরা যে আর্জেন্টাইন ফুটবলে নতুন দিনের গান গাইছেন, সেটা তাঁদের পারফরম্যান্সেই পরিষ্কার। কারাকাসে আজ যেমন চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী উরুগুয়ের বিপক্ষে ৫২ মিনিটের মধ্যে ৩–০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার খুদেরা। ৬৯ মিনিটে স্কোরলাইন হয় ৪–১। এরপর অবশ্য কিছুটা নাটকীয়তাও দেখা গেছে। ৮৬ মিনিটের মধ্যে আরও দুটি গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল উরুগুয়ে, কিন্তু ফেরা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪–৩ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন‘ফার্গি টাইম’ নয়, ইউনাইটেডে এবার ‘অফসাইড টাইম’২৬ মিনিট আগেব্রাজিল অনূর্ধ্ব–২০ দল সে তুলনায় ছুটছে একটু ঢিমেতালে। যেন একের নামতা পড়ছে! চূড়ান্ত পর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ১–০ গোলে জয়ের পর আজ কারাকাসে দ্বিতীয় ম্যাচেও ফল একই। কলম্বিয়াকে হারিয়েছে ১–০ গোলে। পেদ্রো হেনরিকের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ডিফেন্ডার লাগো দা সিলভা। ৮৭ মিনিটে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের রাইটব্যাক ইগর সেরোতে। এর আগে উরুগুয়ের বিপক্ষেও ১০ জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছিল ব্রাজিল।
মরিসিও কারিজ্জোও জোড়া গোল করেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বাড়ানো উচিত
ব্যবসাসংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানো উচিত। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বাড়ানো দরকার। সে জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করতে পারে। সেখানে সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। নীতিনির্ধারণে ব্যবসায়ীদের কথা বলার জন্য এমন প্ল্যাটফর্ম রাখা দরকার।
ওই কমিটিকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ব্যবসা সহজ করার জন্য সংস্কারগুলো করা যেতে পারে। এই সময়সীমা হতে পারে তিন বছর; এ ছাড়া ওই কমিটির আওতায় ব্যাংক, বিনিয়োগ, শুল্ক-করসহ বিভিন্ন খাতে একাধিক উপকমিটি করা যায়। শুধু সুপারিশ দেওয়া নয়, ওই সব সুপারিশ বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কাজ করতে হবে।
এসব কমিটি ব্যবসা ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান খুঁজবে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারবেন। আলোচনার ভিত্তিতে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা হলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। নীতিনির্ধারণে ব্যবসায়ীরা নিজেদের অংশীদার মনে করবেন। সে জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানো উচিত। প্রতি মাসে কিংবা প্রতি তিন মাসে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হতে পারে। সার্বিকভাবে অর্থনীতি ভালো রাখতে হলে ব্যবসা ভালো রাখতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাসের মূল্যায়ন করলে দেখা যাবে, ব্যবসায় ক্ষেত্রে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনেক দিনের জট খুলতে সরকারের সময় লাগছে; এই সময়টুকু সরকারকে দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বিভিন্ন খাতে দক্ষ লোক বসানো হয়েছে। এটি বেশ ইতিবাচক। এনবিআরের সংস্কার কমিটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করেছে। ব্যবসায়ীদের অনেক সুপারিশ অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে রাখাও হয়েছে।
এখনো সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, যে কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়েছে। ফলে ব্যবসার ঋণের খরচ বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে ভ্যাট বাড়ানোর ফলে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে, উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া জ্বালানির দাম ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংকটে আছে।
দেশের বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত, ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।
আবুল কাশেম খান: সাবেক সভাপতি
ঢাকা চেম্বার