সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রতিদিনের ব্রিফিংও তিনি পাবেন না। ট্রাম্প মনে করেন, গোপনীয় তথ্যগুলো তাঁর পূর্বসূরি বাইডেনের পাওয়ার দরকার নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে গত বছর স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট হারের দেওয়া একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। ওই প্রতিবেদনে হার লিখেছিলেন, বাইডেন সজ্জন ও বয়স্ক। তাঁর স্মৃতিশক্তি কম।

তবে ওই সময়ে বাইডেন বলেছিলেন, তাঁর স্মৃতিশক্তি ঠিক আছে। গতকাল শুক্রবার বাইডেনের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের রীতি অনুযায়ী, দায়িত্ব ছাড়ার পরও সাবেক প্রেসিডেন্টরা কিছু গোয়েন্দা তথ্য পান। নিরাপত্তা ছাড়পত্রের আওতায় তাঁরা প্রবেশ সীমিত থাকা জায়গাগুলোতেও যেতে পারেন।

গতকাল ট্রাম্প তাঁর পোস্টে আরও লিখেছেন, তিনি যেন জাতীয় নিরাপত্তা–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য না পান, তা নিশ্চিত করার জন্য গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিতে দিতেই বাইডেন তাঁর মেয়াদ পার করেছেন।

২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সিবিএসকে বাইডেন বলেছিলেন, তিনি মনে করেন ট্রাম্পের গোয়েন্দা তথ্যগুলো পাওয়াটা ঠিক হবে না। ‘অস্থির প্রকৃতির’ ট্রাম্প গোপন তথ্যগুলো অন্যদের দিয়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা জানান তিনি।

ওই সময় বাইডেন প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘তাঁকে (ট্রাম্প) গোয়েন্দা তথ্য দেওয়ার কী মূল্য? তিনি কী এমন প্রভাব ফেলবেন, বরং তিনি মুখ ফসকে কিছু বলে ফেলতে পারেন।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না সিদ্ধান্ত জনগণের: মুশফিকুল ফজল

মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জনগণের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাষ্ট্রদূত–সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি আরও বলেন, ‘অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত যাদের হাতে, সেই নরপিশাচরা ও তাদের নেত্রী এত স্পর্ধা দেখায় কীভাবে? এই সাহস আসে কোথা থেকে?’

জুলাই গণহত্যার প্রতি ইঙ্গিত করে মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, ‘যারা এমন অপরাধ করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলেও ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়, তাদের প্রতি কি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শনের সুযোগ থাকতে পারে?’

দেশে সুশীল সমাজের আবরণে শেখ হাসিনা সরকারের দোসর রয়েছে দাবি করে মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, ‘শুধু ইট-বালু-পাথর–কংক্রিটই ফ্যাসিবাদের চিহ্ন? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বাঁকে বাঁকে এবং সুশীল সমাজের আবরণে হাসিনা সরকারের দোসরদের ঘাপটি মারা অবস্থান কি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নয়?’

পোস্টের শেষে মুশফিকুল ফজল আনসারি জুড়ে দেন, ‘এ মতামত একান্তই আমার ব্যক্তিগত।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারিকে জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস ও জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতি ও বিরোধীদের ওপর নির্যাতন–নিপীড়ন নিয়ে প্রশ্ন করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পান মুশফিকুল ফজল আনসারি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ