পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির সাবেক এমপির জনসভার পোস্টার লাগাতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীর ওপর প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল ফাহাদসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নাজিরপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা উপস্থাপনের লক্ষ্যে আজ শনিবার বাউফল পাবলিক মাঠে জনসভা করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার। বৃহস্পতিবার নাজিরপুর এলাকায় তাঁর সমর্থক ছাত্রদলের রাকিব পোস্টার লাগাতে যান। এতে বাধা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলার সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন। রাতে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফাহাদসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী নাজিরপুর গ্রামে ফের পোস্টার লাগাতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালান এনায়েতের সমর্থক নেতাকর্মী। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। 

হামলায় আহত অন্যরা হলেন– রেদোয়ান, সাজিদ, অন্তর, কাওছার, আল আমিন, রাতুল, রাকিব ও ইলিয়াছ। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন তারা। 

বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফাহাদ ও তাঁর লোকজন পরিকল্পিতভাবে এলাকায় ঢুকে লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তখন তাঁর লোকজন আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ হয়। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ছ ত রদল র ন ত কর ম ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ