সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে চালকসহ সব যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে ১০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল মার্কিন বিমান পরিষেবা সংস্থা বেরিং এয়ারের একটি সেসনা ক্যাটাগরির বিমান। এ ক্যাটাগরির বিমানগুলো ছোটো আকারের হয়। এতে ১০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।

বেরিং এয়ারের অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক ডেভিড ওলসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে আলাস্কার পশ্চিমাঞ্চলে উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ড এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল উড়োজাহাজটি। উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ডের দূরত্ব ১৪০ মাইল। যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি থেকে রাডারে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। ’

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন কোস্টগার্ড আলাস্কা অঙ্গরাজ্য শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কমোডর বেঞ্জামিন ম্যাকলিনটায়ার-কোবল বলেন, ‘রাডারের রেকর্ড বলছে, সর্বশেষ বিকেল ৩ টা ১৮ মিনিটে সংকেত এসেছিল উড়োজাহাজটি থেকে। আমরা ধারণা করছি, উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে কোনো গুরুতর ত্রুটি ঘটেছিল, যার ফলে এটি বাতাসে ভেসে থাকার ক্ষমতা এবং উড়ার গতি হারিয়ে ফেলে।’

পরবর্তীতে আলাস্কার নোম এলাকা থেকে ৩৪ মাইল দক্ষিণপূর্ব থেকে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয় বলে জানান বেঞ্জামিন ম্যাকলিনটায়ার-কোবল। তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উড়োজাহাজটি এমনভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে, তাতে বাকি ৭ জনের মরদেহ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।’

এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আলাস্কার গভর্নর মাইক ডুনালিভি। এক শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী রোজ ডুনালেভি— আমরা বেরিং এয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত। নিহত যাত্রীরা, বিমানচালক এবং তাদের স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাকহক চপার হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাইলটসহ ৬৮ যাত্রীর সবাই নিহত হন।

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: আল স ক

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীরা

“অপারেশন ডেভিল হান্ট” অভিযানে বন্দরে ধরাছোঁয়ার  বাহিরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীরা  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মদনপুর এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর  হামলাকারীরা এখনও বহাল তবিয়তে। 

ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছিল বহু ছাত্র-জনতা ।

"অপারেশন ডেবিল হান্ট" অভিযানে আওয়ামী লীগ ও জাপা’র নামধারী ওসমান দোসরদের কিছু অংশ পুলিশ ধরলেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে বড় বড় রাঘববোয়ালরা।

যার কারনে ছাত্রলীগ নেতা অহিদ অন্ধকারে থেকেও তার ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে এবং মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়নের আওয়ামী-জাপার দোসরদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার ছত্রছায়ায় মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়নের আওয়ামী ও জাপা'র দোসরা বেপরোয়া হয়ে আছে। 

মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান,  ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ সহ ছাত্র- জনতার উপর হামলাকারীরা গা-ঢাকা দিলেও তাদের ছত্র-ছায়ায় মাদক ব্যাবসা, জমি দখল সহ নানা অপকর্ম করে আসছে ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আশরাফুল আলম, ধামগড় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মো. শফিউল আলম, শেখ রাসেল ক্রীড়া’র সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

তারা বটতলা-জাঙ্গাল চকে অন্যের জমি অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে ভেকু দিয়ে মাটি বিক্রি করে কৃষি জমি পুকুরে রুপান্তরিত করছে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী আতংকে রয়েছে।

এমতাবস্থায় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ