সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াবাসহ আটক
Published: 8th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানকে ১২ হাজার ২৭৪টি ইয়াবা বড়িসহ আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটক মুজিবুর রহমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদেও রয়েছেন। আজ শনিবার ভোর চারটার দিকে বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
মুজিবুর রহমান সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে আটকের বিষয়টি কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.
কোস্টগার্ড জানায়, মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা বড়ি মজুত করে রাখা হয়েছে, এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে মুজিবুর রহমানকে আটক করেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। পরে তাঁর বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির একপর্যায়ে একটি বস্তার ভেতরে লুকানো অবস্থায় ইয়াবা বড়িগুলো পাওয়া যায়।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক আসামিকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। মাদকের বিস্তার রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি। জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াবাসহ এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এখনো তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ ব র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
অভিযানে বন্ধ চলে গেলেই চালু
ফরিদপুরের সালথায় কুমার নদে প্রশাসনের অভিযানের পর বন্ধ ছিল বালু উত্তোলন। পরে ফের ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন এক বালু ব্যবসায়ী। এতে নদীর পার ভেঙে পাকা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার খারদিয়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সোনাপুর ও যদুনন্দী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদে ড্রেজার বসানো হয়েছে। অবৈধভাবে বালু তোলায় হুমকিতে পড়েছে নদীর দুই পারে থাকা পাকা সড়ক, ব্রিজ, নদীপারের জনবসতি, গাছপালা, ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি। সড়কের উপর দিয়ে মাটি ফেলে উঁচু করে ড্রেজারের পাইপ বসানো হয়েছে। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, নাসির হোসেন নামে এক বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে কুমার নদসহ বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন। এটাই তাঁর পেশা। তাঁর একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এ কারণে তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
কুমার নদের দুই পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কুমার নদটি খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিছু দিন আগে নদের দুই পারের পাকা সড়ক সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর পরও প্রভাব খাটিয়ে নাসির দুই মাস ধরে এ নদ থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন। গত ৬ এপ্রিল বালু উত্তোলন করার সময় অভিযান চালিয়ে তাঁর ড্রেজার অকেজো করে ও পাইপ ভেঙে দেয় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের কিছুদিন পরই প্রশাসনকে উপেক্ষা করে একই স্থানে বালু উত্তোলন করেছেন নাসির। আইন অনুযায়ী খোলা স্থান ও নদীবক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বালু উত্তোলন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নাসির সেই আইন তোয়াক্কা করছেন না।
অভিযুক্ত নাসির হোসেন বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই কুমার নদ থেকে ফের বালু তোলা শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, কয়েকদিন বালু তুলেই বন্ধ করে দেবেন। এই নিয়ে লেখালেখি করে লাভ হবে না বলে পরামর্শ দেন তিনি।
যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, নদ থেকে বালু তোলায় রাস্তার পাড় ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রাস্তা ভাঙলে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হবে। এতে এই এলাকার জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাবেন বলে জানান।
বালু তোলার বিষয়টি এ প্রতিনিধির মাধ্যমে জানলেন জানিয়ে সালথার ইউএনও আনিছুর রহমান বালী বলেন, কিছুদিন আগে ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবে এত কিছুর পরও বালু তোলা বন্ধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আবারও অভিযান চালানো হবে।