নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ মুর্শেদ খান রাসেলের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বাধা দিতে গিয়ে হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই শাকিল খানের স্ত্রী শান্তা ইসলাম।

শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর স্বজনরা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে শুক্রবার দুপুরে শ্রীনগর ইউনিয়নের নূরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়াসহ একদল লোক রাসেল চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় সোহেল ও তার লোকজন বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালাতে থাকে।

এ অবস্থায় রাসেল চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই শাকিলের স্ত্রী শান্তা বাধা দিতে গেলে পিঠে গুলি করে হামলাকারীরা। ভাঙচুর-লুটপাট শেষে তারা চলে গেলে স্বজনরা শান্তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শান্তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন রাজিব জানান, গৃহবধূটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার পিঠে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ র নগর

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৫ যুবক

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকালে অপহৃত পাঁচজনকে দুইদিন পর ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাদের ছেড়ে দিতে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ প্রদান করেছে স্বজনরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অপহৃতদের ৫ জনকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়েনের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবুইয়া (২০)।

গত বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে স্থানীয় চাকমা পাড়া সংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাশের পাহাড়ি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিম্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী বলেন, ঘটনার ২ দিন পর দুর্বৃত্তরা তাদের ছেড়ে দেয়। এর আগে বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে কয়েক দফায় আলোচনা করে ৫ জনের পরিবার মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠানোর পর এদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে মুক্তিপণের টাকা কি প্রক্রিয়ায় কাকে পাঠানো হয়েছে, তা বিস্তারিত বলেছেন না স্বজনরা।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছিল। এক পর্যায়ে এদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরাও মুক্তিপণ প্রদানের কোনো তথ্য পুলিশকে জানাননি। ৫ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত ১৩ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৫ যুবক
  • দুই যুবক ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার
  • সাংবাদিক হত্যাচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দাবি 
  • লিবিয়ায় যা ঘটেছিল তাদের ভাগ্যে
  • সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর শাহবাগ অবরোধ তুলে নিলেন শহীদ স্বজনরা