নবম পে স্কেল ঘোষণাসহ ৫ দাবি চাকরিজীবীদের
Published: 8th, February 2025 GMT
দ্রুত নবম পে স্কেল ঘোষণা করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ‘১১-২০ গ্রেডধারী সরকারি চাকরিজীবী জাতীয় ফোরাম’।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সভাপতি মো. মিরাজুল ইসলাম।
দাবিগুলো হলো– দ্রুত পে কমিশন গঠন করে বেতন বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে নবম পে স্কেল ঘোষণা ও বর্তমান বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী পে স্কেল দেওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া, গ্রেড সংখ্যা কমানো এবং পে স্কেল বাস্তবায়ন কমিটিতে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন। ব্লকপোস্ট প্রথা বিলুপ্ত করে সব পদে সমহারে পদোন্নতি এবং আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সব দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে কর্মরত-কর্মচারীদের সচিবালয়ের মতো পদ-পদবি ও গ্রেড দিতে হবে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, টিফিন ভাতা, যাতায়াত ভাতা, শিক্ষা ভাতাসহ সব ভাতা বাড়াতে হবে। পেনশনের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ করা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত সবাইকে ঝুঁকি ভাতা দেওয়া, টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত সবাইকে টেকনিক্যাল স্কেল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম ভাতা দেওয়াসহ ১০০ শতাংশ পেনশন সমর্পণ এবং রেলওয়েতে প্রচলিত প্রহসনের ৫০ টাকা রেশন ভাতা বাতিল করে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বর্তমান বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম
যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। বুধবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নার্গিস বেগম বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের পত্নী ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দলকে সুসংবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে বলে দল আশা রাখে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ মে যশোর জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক হন অধ্যাপক নার্গিস বেগম। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলের দুর্দিনে দলকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন থাকলেও একেবারে শেষের দিকে জানিয়ে দেন তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। ফলে নেতাকর্মীরা ভেবে নেন বয়সজনিত কারণে রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন জেলার বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ।
তবে নতুন চমক দেখিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে দলকে ধরে রাখার পুরস্কার হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান অধ্যাপক নার্গিস বেগম স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সহচর্যে ছিলেন। ‘৬০-এর দশকে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে সম্পৃক্ত হন দলটির সঙ্গে। শিক্ষকতাজীবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পদপদবী গ্রহণ না করলেও সক্রিয় ছিলেন বিএনপির নেতৃত্বে।