সকালে বা বিকেলে ধোঁয়া ওঠা এককাপ চা প্রশান্তি দেয়, মন চাঙা করে। তবে চায়ের সঙ্গে প্রায়ই আমরা নানা রকম ‘টা’ বা নাশতাও খাই। তখন চা খাওয়া হয়ে যায় ‘চা-নাশতা’। কিন্তু কিছু খাবার খেলে চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসহ অন্যান্য গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চায়ের সঙ্গে খাওয়া চলবে না, এমন সব খাবার সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো।

চায়ের সঙ্গে দুধজাতীয় খাবার, যেমন পায়েস, ফিরনি, দই খাওয়া যাবে না। কারণ, চায়ের ট্যানিন দুধের ক্যাসিন প্রোটিনের সঙ্গে মিশে হজমে সমস্যা করে। আবার চায়ের অ্যাসট্রিজেন্সি দুধের প্রোটিনের সংস্পর্শে এসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে দেয়। অনেকেরই দুধ–চা পছন্দ, সেটাও যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

ক্রিমজাতীয় খাবার, যেমন ক্রিমরোল, পেস্ট্রি, ক্রিম দেওয়া বনরুটি চায়ের সঙ্গে খান অনেকে। ক্রিমযুক্ত খাবার খেলে পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে পেট ভরা ভরা লাগা, বমিও হতে পারে। অনেকেরই মালাই–চা পছন্দ, পুষ্টির দিক বিবেচনা করে এসব খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চায়ের সঙ্গে বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবার, যেমন কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট খাওয়া যাবে না। কারণ, মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে চিনি বা শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। তা ছাড়া চায়ের সঙ্গে এসব খাবার খেলে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হ্রাস পায় এবং চায়ের ওজন কমানোর গুণ নষ্ট হয়।

চায়ের সঙ্গে বিভিন্ন ভাজাপোড়া খাবার বেশ জনপ্রিয়। এসব ভাজাপোড়া শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং হজমের সমস্যাসহ বুক জ্বালাপোড়া, অন্ত্রের প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়।

চায়ের সঙ্গে টকজাতীয় ফল (কমলা, আঙুর ইত্যাদি) খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। টকজাতীয় খাবারের সাইট্রাস অ্যাসিড চায়ের অ্যাসট্রিজেন্সির সঙ্গে মিশে তিতকুটে স্বাদ সৃষ্টি করে। শুধু তা–ই নয়, সাইট্রাস অ্যাসিড চায়ের, বিশেষ করে গ্রিন–টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ক্যাটেচিন হজম হতে দেয় না।

চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত ঝালজাতীয় খাবার খেলে ক্যাপাসাচিনের সঙ্গে চায়ের অ্যাসিড মিশে হজমে সমস্যা করে।

অনেকে দুধ চা খেতে পছন্দ করেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

তারুণ্যের জন্য আইআরএল

তরুণদের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে ১৮-২৯ বছর বয়সীরা তাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে জানতে যুক্ত হচ্ছে ফেসবুকে। সামাজিক যোগাযোগের এমন প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকরা জীবনের কয়েকটি ধাপে পথচলাকে সমৃদ্ধ করে তোলার সঙ্গে নিজের ও কমিউনিটির জন্য অর্থবহ কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারে।

তরুণদের এমন প্ল্যাটফর্মে অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে বাংলাদেশে একদম নতুন পডকাস্ট সিরিজ #ফেসবুকআইআরএল স্টোরিজ সক্রিয় করেছে ফেসবুক। যার মাধ্যমে তরুণরা কীভাবে ফেসবুক ব্যবহার করছে, তা উপস্থাপন করা হবে।

পডকাস্ট সিরিজের উপস্থাপক হিসেবে রয়েছেন সুপরিচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আমিন হান্নান চৌধুরী। পডকাস্টের মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ছোট থেকে মাঝারি আকারের ব্যবসা (এসএমবি) পরিচালনাকারী ও কমিউনিটিতে প্রভাব বিস্তারকারীরা ফেসবুকে তাদের যাত্রা, উন্নতি ও বিস্তারের গল্প বলবেন, যা বড় পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হবে।

পডকাস্টের উপস্থাপক আমিন হান্নান চৌধুরী জানালেন, সব সময়ই কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও দর্শকের মাঝে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছে ফেসবুক। এবার সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর, এসএমবি ও কমিউনিটিতে প্রভাব বিস্তারকারীদের অগ্রগতি ও সফলতার গল্প তুলে নিয়ে আসছে ফেসবুক। গল্পে তরুণদের অর্থপূর্ণভাবে যুক্ত করতে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পছন্দের সব বিষয় খুঁজে পেতে অনুপ্রাণিত করবে।

এমন অনেকেই ফেসবুকে রয়েছেন, যারা আপনার কাজে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। নিজের পছন্দের কনটেন্ট ও মানুষ খুঁজে পাবেন। যেসব তরুণ কনটেন্ট তৈরিতে টিপস ও কৌশল জানার সঙ্গে কমিউনিটি গড়ে তুলতে বা কোনো ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, তারা #ফেসবুকআইআরএল স্টোরিজ ফলো করতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ