যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার তিন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই তিনজনের নাম প্রকাশ করে হামাস জানিয়েছে- বন্দি বিনিময়ের শর্ত অনুযায়ী- ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকেও আজ মুক্তি দেবে ইসরায়েল। মুক্তি পেতে যাওয়া যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে হামাস তাদের সকলেই ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিক। তারা হলেন এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি। খবর-বিবিসি 

এই তিনজনের নামের তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। তাদের স্বজনদেরও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

কাতার, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর দুই ধাপে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে সাতজন ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয় হামাস।

 ৩০ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের তৃতীয় ধাপে তিন ইসরায়েলিসহ আট জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ১৫ মাসের নজিরবিহীন হামলা ও বর্বরতার পর কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। 

চুক্তি অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী লরিগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকী জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।

তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সাথে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ক র যকর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা দক্ষিণে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে ১৫ মার্চ

আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার (১০ মার্চ) নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ (২,০০,০০০ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৫ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩ হাজার ৬৫৪ স্বেচ্ছাসেবক ও ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সরবরাহ করা এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত এবং শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিজ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উৎসাহিত করুন।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ