ফাইনালের আগে তামিম বলেছিলেন, তার দলে সম্মানটা গুরুত্বপূর্ণ। চিটাগং কিংসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বিপিএল শিরোপা জেতার পর এর একটা উদাহরণ হয়তো দিলেন তামিম। গত আসরেও প্রায় একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে। ট্রফি জেতার পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে যান তামিম। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর জন্য সেটিই ছিল প্রথম বিপিএল শিরোপা।

এবার কেন ট্রফি নিতে নাজমুল, রিশাদ ও হৃদয়কে এগিয়ে দিলেন তা জানিয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল অধিনায়ক তামিম বলেছেন, ‘আমি দুবার ট্রফি জিতেছি। হৃদয়ের কথা যদি চিন্তা করেন, সে সম্ভবত দুই-তিনটি ফাইনাল খেলেও ট্রফি জিততে পারেনি। নাজমুলের ক্ষেত্রেও একই। এই ট্রফি তাদের কাছে আমার তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং রিশাদের ক্ষেত্রেও। তাই আমার মনে হয়েছে, আমি হয়তো ওদের এই সম্মানটা দিতে পারি যে, ট্রফিটা ওরা নিজের হাতে তুলুক।’

এবারের বিপিএল এমনিতে ভালো কাটেনি নাজমুল হোসেনের। জাতীয় দলের অধিনায়ক ৫ ম্যাচ সুযোগ পেয়ে ৫৬ রান করেন। এরপর ফাইনালসহ শেষ ৮ ম্যাচে বরিশালের একাদশে সুযোগ পাননি নাজমুল। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।

একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় খারাপ লাগা থাকলেও তা সামনে আনেননি নাজমুল, এমনই বলেছেন তামিম, ‘নাজমুলের ব্যাপারে বলি, জাতীয় দলের অধিনায়ক, দেশের সেরা ক্রিকেটারদের একজন কিন্তু আমাদের কম্বিনেশনের কারণে বেশি খেলার সুযোগ পায়নি। কিছু দিন আগেও বলেছি, এরপরও খেলার প্রতি, দলের প্রতি তার নিবেদন ছিল দুর্দান্ত। আমি জানি, তার জন্য না খেলাটা অনেক অনেক কঠিন ছিল। তবে ও সেটা দেখায়নি, যা আমাদের কাজ সহজ করেছে।’

গত আসরেও বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তামিম। মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররাও ছিলেন একই দলে। এবার আরও একবার ট্রফি জিতলেও প্রথমবারের জয়টাকে আলাদা করে রেখেছেন তামিম, ‘গতবারের যাত্রাটা ছিল এপিক! সেটি আমার হৃদয়ের খুব খুব কাছের। কিছু দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, সেবার অর্ধেক টুর্নামেন্ট থেকেই আমরা বাদ পড়ার এক ম্যাচ দূরে ছিলাম। সেখান থেকে জিততে জিততে সেমিফাইনালে (প্লে-অফে) এসে পুরোপুরি ভিন্ন দল হয়ে যাওয়া। তো ওই ট্রফিটা জেতা.

.. প্রথমবার বরিশালের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশালের মানুষের জন্য। সেটি আমাদের হৃদয়ের খুব কাছের।’

এবার লিগ পর্বে বরিশালই ছিল সবার ওপরে। ১২ ম্যাচের ৯টিতে জিতেছিল তারা। এরপর কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়েই ফাইনালে উঠে বরিশাল। ফাইনালেও ১৯৪ রান তাড়ায় নেমে পেয়েছে তিন উইকেটের জয়।

এই দাপটকে মাথায় রেখেও প্রথম শিরোপা জয়টিকেই এগিয়ে রাখলেন তামিম, ‘এই বছর আমরা আসরজুড়ে দাপট দেখিয়েছি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুই ম্যাচ ও চিটাগং কিংসের বিপক্ষে এক ম্যাচ শুধু... এর বাইরে পুরো টুর্নামেন্ট আধিপত্য দেখিয়েছি। আমাদের যখন ১৭০-১৮০ রানের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে, খুব ভালো রেসপন্স করেছি। আজকেও, খুলনার সঙ্গেও। এটিও বিশেষ অনুভূতির। তবে দুটি শিরোপার মধ্যে বেছে নিতে বললে আমি সব সময় প্রথমটিই নেব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভ্রমণ: নিউ জিল‌্যান্ড ৭,১৫০ কিলোমিটার, ভারত ০

আইসিসি চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের আগের রাতে বিতর্ক যেন আরো একটু উসকে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার জুনায়েদ খান। ২০১৭ সালে সবশেষ চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানকে শিরোপা জেতানোতে ভূমিকায় ছিলেন জুনায়েদ। এবার তিনি দর্শকের ভূমিকায়।

তবে দর্শকের ভূমিকায় থেকেও ভারতের ‘পিছু ছাড়ছেন না’ জুনায়েদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে কড়া সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘কিছু দল স্কিলের কারণে জিতে যায়। কেউ কেউ সিডিউলের কারণে।’ জুনায়েদের সমালোচনার তীর যে ভারতের দিকে তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।

কেননা ভারত এবারের চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলছে দুবাইয়ে। পাকিস্তান স্বাগতিক হওয়ায় ভারত সফর থেকে পাকিস্তান সফরের অনুমতি পাননি রোহিত-কোহলিরা। তাই বাধ‌্য হয়ে পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেলে চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে হয়। যেখানে ভারত তাদের সবগুলো ম‌্যাচ খেলে দুবাইয়ে। অার তাদের বিপক্ষে যারা খেলেছে প্রত‌্যেকেকে পাকিস্তান, দুবাই সফর করতে হয়েছে।

ভারত দুবাইয়ে স্থির থেকে কোনো ভ্রমণক্লান্তি ছাড়া গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সবকটি ম‌্যাচ খেলেছে। নিউ জিল‌্যান্ডকে শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম‌্যাচ খেলতে হয়েছে করাচিতে। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম‌্যাচ খেলে রাওয়ালপিণ্ডিতে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম‌্যাচ খেলতে তাদের উড়াল দিতে হয় দুবাই।

এরপর সেমিফাইনাল ম‌্যাচ খেলতে কেন উইলিয়ামসন, টম লাথামদের যেতে হয় লাহোরে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তারা পায় ফাইনালের টিকিট। এখন ফাইনাল খেলতে নিউ জিল‌্যান্ড এখন দুবাইয়ে।

সব মিলিয়ে নিউ জিল‌্যান্ড চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভ্রমণ করেছে ৭, ১৫০ কিলোমিটার। ভারত করেছে শূন‌্য কিলোমিটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩, ২৮৬ কিলোমিটার।

জুনায়েদ খান এক্স-অ‌্যাকাউন্টে সে-ই কথাই তুলে ধরেছেন, ‘‘২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যাচগুলির মধ্যে ভ্রমণ করা দলগুলোর দূরত্বের পরিমান:

নিউ জিল‌্যান্ড: ৭,১৫০ কিলোমিটার

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩,২৮৬ কিলোমিটার

ভারত: ০ কিলোমিটার’’

ভারতের পাশে জুনায়েদ বাড়ির ইমোজি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারত স্বাগতিক হয়ে এই প্রতিযোগিতায় খেলছে।

শুধু ভ্রমণঝাক্কিই শেষ কথা নয়। নিউ জিল‌্যান্ড একেক কন্ডিশনে খেলছে। একেক উইকেটে পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখানে ভারত একই ভেনু‌্য, প্রায় একই ধরণের কন্ডিশন ও উইকেটে খেলে ‘অভ‌্যস্ত’ হয়ে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ তারা। যদিও টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ভারত দাবি করে আসছে, বাড়তি কোনো সুবিধাই তারা পাচ্ছে না। তাদেরকেও কন্ডিশনের সঙ্গে, উইকেটের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হচ্ছে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দাপট দেখাতেন মেজর পরিচয়ে, সেনাবাহিনীর পোশাক-ব্যাজসহ খেলেন ধরা
  • ধূমপান ইস্যুতে দুই তরুণীকে লাঞ্ছনা: অভিযুক্ত রিংকু থানা হেফাজতে
  • ধূমপান ইস্যুতে দুই তরুণীকে লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত রিংকু গ্রেপ্তার
  • চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: মাঠে বিরাট-আনুশকার আনন্দঘন মুহূর্ত
  • চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • প্রথমবার এসেই মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন শেল্‌টেক্‌
  • টাঙ্গাইলে সালিশে ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা!
  • হিযবুত তাহরীরের ৫ জন কারাগারে
  • দুই শ হলো না নাঈমের
  • চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভ্রমণ: নিউ জিল‌্যান্ড ৭,১৫০ কিলোমিটার, ভারত ০