টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতীতে মহাসড়‌কে বাসের চাপায় রা‌কিব (২৮) ও রিজভী (৩০) নামে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হ‌য়ে‌ছে।

নিহত রা‌কিব ও রিজভী টাঙ্গাইল সদর উপ‌জেলার নগর জল‌ফৈ এলাকার বাসিন্দা । 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সা‌ড়ে ৮টার দি‌কে ঢাকা- টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের উপ‌জেলার চরভাবলার ৪ নম্বর ব্রিজের কা‌ছে এই দুর্ঘটনা ঘ‌টে।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) শেখ মোহাম্মদ রু‌বেল জানান, তারা দুইজন মোটরসাইকেল‌যো‌গে সেতুপূর্ব গি‌য়ে‌ছিল বেড়া‌তে। প‌রে তারা টাঙ্গাইলে যাওয়ার সময় মহাসড়‌কের চরভাবলা এলাকায় অজ্ঞাত প‌রিবহ‌নের ধাক্কায় ঘটনাস্থ‌লেই মারা যায়। তা‌দের মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে থানায় আনা হ‌য়ে‌ছে। আইনি প্রক্রিয়া শে‌ষে নিহত‌দের মর‌দেহ স্বজন‌দের কা‌ছে হস্তান্তর করা হ‌বে। 

ঢাকা/কাওছার/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী ছিলেন গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী কণ্ঠস্বর: জোনায়েদ সাকি

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী শুধু একজন চিকিৎসক ছিলেন না, তিনি গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী কণ্ঠস্বর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। দুঃসময়েও তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দৃঢ়তার সাথে অবস্থান নিয়েছিলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৮১ বছর বয়সে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জীবদ্দশায় তিনি নাগরিক অধিকার আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। অসুস্থ শরীরেও তিনি নাগরিকদের বাক্‌স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের পক্ষে নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন ভাস্কুলার সার্জন। একজন জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ শুক্রবার গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতারা। এ সময় জোনায়েদ সাকি ছাড়াও দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক রায়, জুলহাসনাইন বাবুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে ব্যবসায়িক মুনাফার জায়গা না বানিয়ে জনগণের অধিকারের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী আজীবন লড়াই করেছেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি যুদ্ধের সময় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছিলেন। তাঁর অবদান জাতীয় ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জুলহাসনাইন বাবু বলেন, ‘আমরা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরীর স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং আদর্শকে লালন করে এগিয়ে চলবো। দেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের আন্দোলনে তাঁর দেখানো পথই আমাদের পথ।’

ছাত্র ফেডারেশনের শ্রদ্ধা

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ছাত্র ফেডারেশন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পরে ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে যখনই ফ্যাসিস্টরা তাঁদের ওপর হামলে পড়েছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাঁদের পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশে মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বেঁচে থাকবেন।

এ সময় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের নেতৃত্বে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা মহানগর শাখার সহসভাপতি তুহিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ