এ সপ্তাহের রাশিফল (৮-১৪ ফেব্রুয়ারি)
Published: 8th, February 2025 GMT
সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটির (বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): অর্থনৈতিক বিষয় আপনার জন্য শুভ। রাগ, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কষ্ট হবে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। নেতিবাচক পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। প্রণয়ঘটিত বিষয়ে সফলতা আসবে। প্রাত্যহিক জীবনে আনন্দ উপভোগ করবেন।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (১-৭ ফেব্রুয়ারি)
এ সপ্তাহে রাশিফল (২৫-৩১ জানুয়ারি)
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): কোনো সম্মান প্রাপ্তি মানসিক আনন্দ দিবে। কর্মস্থানে অস্থিরতা, জটিলতা বাড়তে পারে। পারিবারিক কলহ বাড়তে পারে। আর্থিক পরিস্থিতি ভালো যাবে। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো নাও যেতে পারে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। স্বাস্থ্যে মনোযোগী হোন। ভ্রমণ শুভ। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আপনার অনুকূলে থাকবে।
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): মানসিক স্থিরতা প্রয়োজন। পারিবারিক জীবনে অশান্তি বাড়তে পারে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের সন্তানের প্রতি যত্নশীল হোন। যানবাহন চলাচলে সতর্ক হোন। আর্থিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। ব্যবসায়িক ও পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। রোমান্টিক সম্পর্কে দৃঢ়তা প্রয়োজন। রাগ, ক্ষোভ, হতাশা নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): দুর্ঘটনাজনিত বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সঠিক ডায়েট মেনে চলুন। মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। অফিসে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন। প্রেমে মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। চাকরি ও পেশাগত বিষয়ে সফলতা আসার সম্ভাবনা আছে। ভ্রমণ শুভ। প্রভাবশালী কারো সহযোগিতা পেতে পারেন। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি করুন। নেতিবাচক পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। প্রণয়ঘটিত বিষয়ে সফলতা আসবে। দীর্ঘ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। প্রাত্যহিক জীবনে আনন্দ উপভোগ করবেন। পারিবারিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। পেশাগত কাজে দায়িত্ব বাড়বে।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): সার্বিক দিক বিবেচনায় ভালো থাকবেন। কোনোরকম রাগ বা জেদ ক্ষতির কারণ হতে পারে। মনোবল চাঙা থাকবে। রোমাঞ্চ শুভ। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। কর্মক্ষেত্র শুভ। নাম-যশ বৃদ্ধি পাবে। প্রিয়জনের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): অতিরিক্ত মানসিক চাপের জন্য অমনোযোগিতা বাড়বে। অপ্রিয় কথা বলে অযথা শত্রু তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন। যেকোনো বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আপনার সংবেদনশীলতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবনে অশান্তি বাড়বে। যেকোনো বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আপনার সংবেদনশীলতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেউ কেউ বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। কোনো বিশেষ বন্ধু দ্বারা উপকৃত হবেন। কর্ম পরিবেশে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): পেশাজীবীদের সুনাম বাড়বে। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। আপনার গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসিত হবে। নিজের প্রতি যত্নশীল হোন। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): স্পষ্ট কথা বলার প্রবণতা বাড়বে। ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। স্থূল আনন্দে গা ভাসিয়ে দেবেন না। খরচ কমাতে চেষ্টা করুন। জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করুন। দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার দিকে বিশেষ সতর্ক হোন। অতিরিক্ত কল্পনাবিষয়ক বিলাসী মানসিকতার জন্য পেশাগত জীবনে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সপ্তাহটি আপনার জন্য শুভ সম্ভাবনাময়। ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখুন। চাটুকারিতায় বিভ্রান্ত হবেন না।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): সব ধরনের মতানৈক্য এড়িয়ে চলুন। দাম্পত্য জীবনে রুক্ষতা এড়িয়ে চলুন। রোগ বেঁধে গিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আপনার চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হন। স্নায়ুবিক দুর্বলতায় ভুগতে পারেন। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করুন, না হলে সমস্যা তৈরি হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল প শ গত ক জ বন র জন য আর থ ক পর ব শ সতর ক ভ রমণ আপন র ব যবস আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে তরুণদের প্রত্যাশা
২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান নিঃসন্দেহে একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে, যেমনটা হয়েছিল ১৯৭১ ও ১৯৯০-এ। দেশের রাজনৈতিক পরিসরে যত বড় আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে, প্রতিটিই প্রায় অভিন্ন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এর সারকথা হচ্ছে, বৃহত্তর রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা, যা অনেক ক্ষেত্রেই নিষ্পেষণ ও নিপীড়নমূলক, গোষ্ঠীতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয় এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। ২০২৪-এর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতাও এসব পশ্চাৎপদতা ও পুরোনো ধারণা থেকে সমাজ কাঠামোকে বের করে নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছে।
ছাত্রদের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ প্রত্যাশা করে এই দল এবং গণঅভ্যুত্থানের অগ্রগামী ছাত্রনেতারা তাদের দক্ষতা ও প্রজ্ঞা প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সবার সামনে উন্মোচন করবে। তাদের সফলতা বৈষম্যমুক্ত এক বাংলাদেশের সূচনা করবে। আবার তাদের ব্যর্থতা ছাত্র ও যুবদের নিজেদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকেও এক অনিশ্চিত পথে ধাবিত করতে পারে। ছাত্রদের বর্তমান নেতৃত্ব বলছে, ‘এখনই সময় দেশ গড়ার’, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলাপ। এতে অনেক ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ আছে। ছাত্র ও যুবনেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন নেতৃত্বকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তাদের অনেক কিছু যেমন ছাড়তে হবে এবং একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন নীতি, দক্ষতা ও প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটাতে হবে।
গত সাত মাসে দেশে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা শুরু হলেও প্রত্যাশিত রাজনৈতিক পরিবর্তন অনেকাংশেই সম্ভব হয়নি। আরও কিছু বিষয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে অনেকেই বলেন, শুধু পাত্রপাত্রীর পরিবর্তন হয়েছে। সাবেক রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় যারা নিপীড়কের ভূমিকায় ছিল, তারা ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠীর অনেকেই নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। অনেকেই নতুন এক কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন। এই কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ভিন্নমত ও ভিন্ন সংস্কৃতির চর্চা অবদমিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, এই সময় নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বৈষম্য দৃশ্যমান হয়েছে। বলা হচ্ছে, মব সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদ তৈরির চেষ্টা চলছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুব ও ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায্যতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়গুলোর ওপর যে কোনো আঘাত প্রতিরোধ করতে হবে। একই সঙ্গে এসব বিষয়ে নতুন সংলাপ ও বয়ান তৈরিতে তাদের উদ্যোগ নিতে হবে। এই ছাত্রদের সরকার ও বর্তমান ক্ষমতা কাঠামো থেকে প্রচ্ছন্নভাবে দূরেও থাকতে হবে, যাতে সরকারের ব্যর্থতা তাদের কলুষিত করতে না পারে। নিজেদের গণমানুষের পক্ষের শক্তি হিসেবে অবস্থান দৃঢ় করার জন্য সরকারকে নৈতিক জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখতে হবে। তা না হলে না চাইলেও সরকারের ব্যর্থতা ছাত্র ও যুবদের এই রাজনৈতিক শক্তিকে গ্রাস করতে পারে।
ছাত্র-যুবদের রাজনৈতিক শক্তিকে সফল হওয়ার জন্য গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার দরকার আছে। মনে রাখতে হবে, ছাত্র-যুবার এই রাজনৈতিক প্রচেষ্টা যদি সফল না হয়, তার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ভূমিকা যতটা দায়ী হবে, তার থেকে অনেক বেশি দায়ী হবে তাদের নিজেদের কাঙ্ক্ষিত প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে না পারা, অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করা। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া যে কোনো রাজনৈতিক শক্তির প্রজ্ঞার পরিচয়। এটিও মনে রাখতে হবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কারও বয়স ও অনভিজ্ঞতা আর মুখ্য বিবেচ্য বিষয় থাকে না। মানুষ দেখতে চায় তাদের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যে বিশ্বাস স্থাপন করা হয়েছে, সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন আছে কিনা। প্রতিফলন থাকলে জনতা তাদের মাথায় তুলে রাখবে আর আর না থাকলে ঐতিহাসিক ব্যর্থতার সত্য তাদেরও মেনে নিতে হবে। সেটিই ঐতিহাসিক পরাজয়।
গণআন্দোলনে ছাত্র ও যুবদের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রমাণ করে তাদের বৃহত্তর অংশ নতুন রাজনৈতিক শক্তির সফলতাই চায়। এই সফলতার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হতে পারে; যে বাংলাদেশ সবার, বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর না। আবার এই রাজনৈতিক শক্তির ব্যর্থতা তাদের মধ্যে নতুন করে হতাশার জন্ম দিতে পারে। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে আবারও আশাহত হতে পারে, যা আমাদের কারও কাছে কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
নাজমুল আহসান: উন্নয়নকর্মী