গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন: সারজিস আলম
Published: 8th, February 2025 GMT
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাদের কয়েকজনকে আটক করে মারধর করেন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, “গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন। আমরা আসছি.
এছাড়া, গাজীপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ওই পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, “গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী মোজাম্মেল-জাহাঙ্গীরের চাপাতিবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সারা দেশের আপামর ছাত্র–জনতা ও কেন্দ্রীয় নেতারা।”
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালান। তাঁরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এ সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের লোকজন বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা ভাঙচুরকারী কয়েকজনকে মারধর করেন।
পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতা মো. আবদুল্লাহ বলেন, “শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হন। দ্রুত ১৫-১৬ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। এতে বাধা দিলে পেছন থেকে হুট করে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও পেটানো হয়।”
সেখান থেকে শনিবার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের শোভাযাত্রা সর্ববৃহৎ ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে: চারুকলা
অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের শোভাযাত্রাটি সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল শেখ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বাবাহী বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রাটি হবে সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় বৈচিত্র ও বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার অংশগ্রহণ থাকবে।
আরো পড়ুন:
মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
ঢাবিতে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়। বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতিকী উপকরণ বিভিন্ন রঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নানা পেশার মানুষ এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আগামী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় চারুকলা অনুষদে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী