বগুড়ার শেরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার গাড়িদহে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে নির্মিত ম্যুরালটি এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২০ থেকে ৩০ জন বিক্ষুব্ধ ছাত্র এক্সকাভেটর দিয়ে ম্যুরালটি ভাঙছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের একজন আহাদুল ইসলাম ওরফে দুর্জয় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে মানি না, তাদের দোসরদের মানি না। এ কারণেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এই ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আমরা অন্য কিছু ভাঙচুর করব না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো.

ফেরদৌস বলেন, ‘ম্যুরালটি আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের প্রতীক হয়েছিল। এ কারণে এটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে ম্যুরালটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুরে উপজেলার নেতা ইয়াছিন আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু সরকার যেকোনো ধরনের ভাঙচুরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, আমরাও এসবের বিরুদ্ধে। এই রাতে কারা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙেছে, তা আমরা জানি না। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএল: ফাইনালটা ঠিক কোথায় হারল চিটাগং কিংস

শেষ ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান। সেটিও উইকেটে সেট ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ও গ্রাহাম ক্লার্ক থাকার পরও। তাতেই কাল বিপিএল ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২০০ রানের গণ্ডি পার হতে পারেনি চিটাগং কিংস।

অথচ উদ্বোধনী জুটিতেই খাজা নাফি ও পারভেজ তুলেছিলেন ৭৬ বলে ১২১ রান। কিছু রান কম হলেও ফাইনালে ১৯৪ রান বড় স্কোরই। বিপিএলে এর আগে ফাইনালে এত রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। ফাইনালে বড় সংগ্রহ তুলেও ঠিক কোথায় হেরে গেল চিটাগং?

বল হাতে ভালো শুরু করতে না পারা হতে পারে একটি কারণ। ইনিংসের ৭ ওভারের মধ্যে মাত্র ২৪ বলেই যে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল করেন ফিফটি। চিটাগং পেসার খালেদ আহমেদ ওই সময়ে তাঁকে পরিকল্পনামতো বল করতে না পারার আফসোস করছেন, ‘পাওয়ার প্লেতে তামিম ভাইকে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারিনি। মুখের ওপর বল দিয়ে ফেলেছি। এটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে গেছে। পাওয়ার প্লেতে আরেকটু ভালো বল করলে হয়তো ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকত।’

৪ উইকেটে ৩৪কাল বিপিএল ফাইনালে শরীফুল ইসলাম

তবু অবশ্য শেষ দিকে নতুন করে আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন শরীফুল ইসলাম। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এক বলের ব্যবধানে তিনি ফেরান ২৮ বলে ৪৬ রান করা কাইল মায়ার্স ও ১১ বলে ৭ রান করা মাহমুদউল্লাহকে। এই ওভার জয়ের বিশ্বাস এনে দেয় খালদকে, ‘মায়ার্স যখন আউট হয়েছে, আমি শরীফুলকে বলছিলাম যে “তুই ম্যাচ জিতাবি।” আরেকটা উইকেট নিলে...এক বল পরই রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাইকে আউট করে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস চলে আসছিল যে ম্যাচটা জিতে যাব। ওখানে কিছু ভুল হয়ে গেছে। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারিনি। শুরুতেই ভুল হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুনতানজিদ তামিমের ‘উদীয়মান ক্রিকেটার পুরস্কার’ নিয়ে কৌতূহল১ ঘণ্টা আগে

আগের ম্যাচে শেষ বলে ৪ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ব্যাট হাতে চিটাগংকে জিতিয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম। আর বল হাতে তো পুরো টুর্নামেন্টেই ছিলেন দুর্দান্ত। নিয়েছেন ১৫ উইকেট। কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় পাওয়া চোট তাকে খেলতি দেয়নি ফাইনালে।

খালেদ আহমেদ নিজেও ফাইনালে তেমন কিছু করতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ