Samakal:
2025-04-10@10:29:32 GMT

থাইল্যান্ডে হাতির উৎপাত

Published: 8th, February 2025 GMT

থাইল্যান্ডে হাতির উৎপাত

এশিয়ার যে কয়েকটি দেশে বেশি সংখ্যক বন্যহাতির দেখা মেলে, সেগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। দেশটিতে বন্যহাতির সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৪২২টি। এসব হাতি এখন দেশটির জন্য বেশ কিছু সমস্যারও কারণ।

সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রজননের হারও তুলনামূলক বেশি। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বনাঞ্চলগুলোতে পড়ছে প্রভাব। প্রায়ই হাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। হানা দিচ্ছে ক্ষেত-খামারে। নষ্ট করছে ফসল। সংঘর্ষ বাধছে মানুষের সঙ্গেও।

দেশটির সবচেয়ে সমস্যাসংকুল এলাকা হচ্ছে পূর্বাঞ্চল। সেখানে পাঁচটি প্রদেশে রয়েছে কৃষিজমি ও শিল্পাঞ্চলে ঘেরা ইস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স। কেবল গত বছরই ইস্টার্ন ফরেস্টে ৪ হাজার ৭০০টিরও বেশি সংঘর্ষ ঘটে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৯৪টি কৃষিজমি; ধ্বংস হয়েছে ৬৭টি সম্পত্তি। গুরুতর আহত হয়েছেন ২২ জন।

ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মানুষ-হাতির সংঘর্ষ ঠেকাতে এবার অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে থাই সরকার। হাতির প্রজনন হার কমাতে চলতি বছর থেকে সীমিত সংখ্যক বন্য মাদি হাতিকে জন্মনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে যাচ্ছে দেশটি। যদিও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে জন্মনিয়ন্ত্রণের এ প্রস্তাব।

অনেক পরিবেশবাদী বলছেন, এ পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর সাতটি পোষা থাই হাতির ওপর পরীক্ষামূলকভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা হয়। এতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাতে ফিরবে হারিয়ে যাওয়া গোটালি মাছ

দেশের নদী-নালা, খাল-বিলে হারিয়ে যেতে বসা গোটালি মাছ ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুরে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্রে গোটালি মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।

সৈয়দপুর স্বাদুপানি উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজহার আলী বলেন, তাঁদের গবেষণাকে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহ স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে মাছটি চাষি পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে মাছটি আবার খাল-বিল ও নদী-নালায় পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

এই গবেষক বলেন, ইনজেকশন প্রয়োগ করার সাত–আট ঘণ্টা পর স্ত্রী গোটালি মাছ ডিম ছাড়ে। ডিম ছাড়ার ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর ডিম থেকে রেণু বের হয়। সঠিক পরিচর্যায় ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা আঙুলি পোনায় পরিণত হয়।

গোটালি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘Crossochelius latius’। সুস্বাদু এ মাছ ইতিমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় মাছের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল।

সৈয়দপুর স্বাদুপানি উপকেন্দ্র সূত্র জানায়, মিঠাপানির জলাশয়, পাহাড়ি ঝরনা ও অগভীর স্বচ্ছ নদী ছিল গোটালি মাছের আবাসস্থল। একসময় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও আত্রাই নদী ছাড়াও নেত্রকোনার সোমেশ্বরী ও কংস, সিলেটের পিয়াইন এবং পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদীতেও প্রচুর পরিমাণে মিলত গোটালি মাছ। নানা কারণে গোটালির প্রজনন হুমকিতে পড়ে। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) মাছটিকে বিপন্ন প্রজাতি ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তালিকায় বিলুপ্ত প্রজাতির ২৬১টি মাছের নাম উল্লেখ আছে। এর মধ্যে ৬৪টি মাছ দেশের নদী-নালা থেকে একেবারে হারিয়ে গেছে। আর বিলুপ্ত প্রজাতি থেকে ৪১টি মাছের প্রজনন প্রযুক্তি সফল হয়েছে। সেখান থেকে ১২টি বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের পোনা চাষি পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে।

দেশের নদী-নালা, খাল-বিলে হারিয়ে যেতে বসা গোটালি মাছ ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাতে ফিরবে হারিয়ে যাওয়া গোটালি মাছ