দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সংগীত পরিচালক অনিরুদ্ধ রবিচন্দর। ৩৪ বছর বয়সী এই সংগীত পরিচালক দক্ষিণি নির্মাদের প্রথম পছন্দ। পারিশ্রমিকও নিয়ে থাকেন অনেক। তিনি নাকি এ আর রাহমানের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেন। অনিরুদ্ধের সুরের জাদুতে আজ মুগ্ধ তরুণেরা। রজনীকান্ত, বিজয়, কমল হাসানসহ আলোচিত অভিনেতার একাধিক তামিল সিনেমাতে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন অনিরুদ্ধ। এখন ভারতের সবচেয়ে বেশি আয় করা সংগীত পরিচালকও তিনি। 

হিন্দু টাইমস-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অ্যালবামপ্রতি অনিরুদ্ধ এখন ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন।যেখানে এ আর রহমান ৭ কোটি রুপি নিয়ে থাকেন। এরই মধ্যে অনিরুদ্ধ বলিউডেরও কাজ করে ফেলেছেন। তা–ও আবার শাহরুখ খানের সঙ্গে। ‘বাদশাহ’র ‘জওয়ান’-এর হাত ধরেই বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন অনিরুদ্ধ।

জানা গেছে, জুনিয়র এনটিআর অভিনীত ‘দেবরা’ সিনেমাতে অনিরুদ্ধের গান রয়েছে। তার সুর করা গানগুলো বেশির ভাগই সুপারহিট। 

আরো পড়ুন:

‘চিচিং ফাঁক’ এ প্রিয়াঙ্কা সরকার

ঘরে বসেই দেখা যাবে ‘ প্রিয় মালতী’

শ্রীকান্ত ওদেলা এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অনিরুদ্ধের আবহ সংগীত অ্যাকশন দৃশ্যে তীব্রতা যোগ করেছে। না হলে এই মুহূর্তগুলো এতটা জমত না।’

২০১২ সালে ‘৩’ সিনেমার ‘হোয়াই দিজ কোলাবেরি ডি’ গানের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান অনিরুদ্ধ। এরপর থেকেই তার ক্যারিয়ারের গ্রাফ শুধুই এগিয়ে গিয়েছে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন সেই পাঁচ কাঠুরে

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত পাঁচ ব্যক্তি মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। অপহরণের দুইদিন পর শুক্রবার সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে ওই কাঠুরেদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অপহৃত কাঠুরেদের স্বজনদের দাবি, প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ের অপহরণকারীরা পাঁচজনকে মুক্তি দেয়। 

মুক্তি পাওয়া পাঁচ ব্যক্তি হলেন– টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) ও শফিউল আজমের ছেলে আবু ইয়া (২০)।

জানা গেছে, গত বুধবার সকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। একপর্যায়ে চাকমা পাড়ার পাশের পাহাড়ি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত তাদের জিম্মি করে। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে জিন্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়। 
অপহৃতদের স্বজনদের বরাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী বলেন, বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে কয়েক দফায় আলোচনা করে ৫ জনের পরিবার মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, অপহৃতদের স্বজনরা মুক্তিপণের তথ্য পুলিশকে জানাননি। ওই কাঠুরেদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ