তিনিই এখন ভারতের সবচেয়ে বেশি আয় করা সংগীত পরিচালক
Published: 8th, February 2025 GMT
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সংগীত পরিচালক অনিরুদ্ধ রবিচন্দর। ৩৪ বছর বয়সী এই সংগীত পরিচালক দক্ষিণি নির্মাদের প্রথম পছন্দ। পারিশ্রমিকও নিয়ে থাকেন অনেক। তিনি নাকি এ আর রাহমানের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেন। অনিরুদ্ধের সুরের জাদুতে আজ মুগ্ধ তরুণেরা। রজনীকান্ত, বিজয়, কমল হাসানসহ আলোচিত অভিনেতার একাধিক তামিল সিনেমাতে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন অনিরুদ্ধ। এখন ভারতের সবচেয়ে বেশি আয় করা সংগীত পরিচালকও তিনি।
হিন্দু টাইমস-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অ্যালবামপ্রতি অনিরুদ্ধ এখন ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন।যেখানে এ আর রহমান ৭ কোটি রুপি নিয়ে থাকেন। এরই মধ্যে অনিরুদ্ধ বলিউডেরও কাজ করে ফেলেছেন। তা–ও আবার শাহরুখ খানের সঙ্গে। ‘বাদশাহ’র ‘জওয়ান’-এর হাত ধরেই বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন অনিরুদ্ধ।
জানা গেছে, জুনিয়র এনটিআর অভিনীত ‘দেবরা’ সিনেমাতে অনিরুদ্ধের গান রয়েছে। তার সুর করা গানগুলো বেশির ভাগই সুপারহিট।
আরো পড়ুন:
‘চিচিং ফাঁক’ এ প্রিয়াঙ্কা সরকার
ঘরে বসেই দেখা যাবে ‘ প্রিয় মালতী’
শ্রীকান্ত ওদেলা এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অনিরুদ্ধের আবহ সংগীত অ্যাকশন দৃশ্যে তীব্রতা যোগ করেছে। না হলে এই মুহূর্তগুলো এতটা জমত না।’
২০১২ সালে ‘৩’ সিনেমার ‘হোয়াই দিজ কোলাবেরি ডি’ গানের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান অনিরুদ্ধ। এরপর থেকেই তার ক্যারিয়ারের গ্রাফ শুধুই এগিয়ে গিয়েছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যানফিল্ডে রূপকথার গল্প লিখল পিএসজি
ইতিহাস তো গড়া হয় ভাঙার জন্যই। লিভারপুল কখনই ইউরাপিয়ান কোন প্রতিযোগিতায় অ্যাওয়েতে প্রথম লেগ জেতার পর ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলে নক আউট থেকে বাদ পড়েনি। তবে এবার ফুটবল পন্ডিতরা আশংকা করছিলেন এমন কিছু হতে পারে। সেই শঙ্কার পূর্ণতা দিলেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। এই গোলরক্ষক আরেকবার ইতালিয়ান রক্ষণের মিথকে অম্লান করে পিএসজিকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুললেন।
প্রথম লেগে পার্ক দে প্রিন্সে আক্রমণের ফুলঝুরি বইয়ে দিয়েও ম্যাচটা ১-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল স্বাগতিক পিএসজিকে। তবে মঙ্গলবার (১১ মার্চ, ২০২৫) চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আর আগের ম্যাচের ভুল করল না প্যারিসের দলটি। আগেভাগেই গোল আদায় করে নিল। এরপর আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলা চলল। তবে গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। টাই ব্রেকের জন্য খেলা পেনাল্টি শুট-আউটে গেলে সেখানে লিভারপুলের জন্য রীতিমতো দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান দেন্নারুম্মা। পিএসজি ৪-১ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে নাম লিখিয়ে ফেলে শেষ আটে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের চিরন্তন সত্য, লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ড প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্নের রাতের সমান। গতরাতেও এর ব্যতিক্রম হলো না। ম্যাচের ১২ মিনিটে পিএসজিকে উসমান দেম্বেলে এগিয়ে দিলেন বটে। তবে এরপর তাদের উপর রীতিমতো আক্রমণের বন্যা বসিয়ে দিল লিভারপুল। ভাগ্যিস চীনের প্রাচীর হয়ে সেই আক্রমণগুলো ঠেকিয়ে গেলেন দেন্নারুম্মা।
আরো পড়ুন:
অ্যানফিল্ডে জাদু দেখানোর অপেক্ষায় পিএসজি
পিএসজি হারল ‘বিশ্ব সেরা’ গোলরক্ষকের বিপক্ষে!
বিরতির পর তো অল রেডরা কেবল আক্রমণ করেই গিয়েছে। তবে স্বাগতিকদের সবচেয়ে বড় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে ভয়ংকর হতে দেয়নি প্রতিপক্ষ। মিশরীয় রাজাকে গোল করা থেকে বিরত রাখলেন পিএসজির পর্তুগিজ লেফট ব্যাক নুনো মেন্ডেস। প্যারিসের দলটিও বেশ কিছু আক্রমণ করেছে। তবে আগের ম্যাচে ৯টি সেভ করা আলিসন বেকার এই ম্যাচে করলেন ৭টি সেভ।
ম্যাচ টাইব্রেকারে গেলে পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটই জালে পাঠান। বিপরীতে দোন্নারুম্মা আটকে দেন লিভারপুলের নেওয়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট। এই দুটি শট নেন যথাক্রমে দারউইন নুনিয়েজ ও কার্টিস জোনস। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এই প্রথম অ্যানফিল্ড গ্যালারিকে এভাবে চুপ করিয়ে দিল কোন প্রতিপক্ষে।
ঢাকা/নাভিদ