ট্রাম্প-মোদির বৈঠকে উঠতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
Published: 8th, February 2025 GMT
আগামী সপ্তাহের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে উঠতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এমন কথা জানান।
এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে মিশ্রি বলেন, “বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আগে থেকে কোনো কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে ওই বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের বিষয়টিও উত্থাপন হতে পারে।”
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গতবছর ৫ অগাস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্য রাখাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফের কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই বিষয়টি সামনে এলো।
ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা এবং ভারতীয় মিশনগুলোতে নিরাপত্তার বিষয় সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “এই ইস্যুতে ভারতের তরফে আগেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশে ভারতীয় ডিপ্লোম্যাটিক মিশনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি স্বাগতিক দেশের সরকারের ওপর বর্তায়। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ সরকারও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত রয়েছে।”
ঢাকা/সুচরিতা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গুমাই বিলে ঝাঁক বেঁধে উড়ছে বক
শস্যভান্ডারখ্যাত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গুমাই বিলে এখন ধান চাষের মৌসুম। বোরো রোপণের জন্য ব্যস্ত কৃষক। চলছে জমি প্রস্তুতের কাজ। পাওয়ার টিলার দিয়ে মাঠে নামতেই চারপাশে ঝাঁক বেঁধে ঘিরে ধরছে সাদা বক। মাটির ভেতর থেকে উঠে আসা পোকামাকড় খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করছে এই পাখি। বিলজুড়ে বকের ওড়াউড়ির দৃশ্য কঠোর পরিশ্রমের মাঝে কৃষকের মনে প্রশান্তি দেয়।
রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের আধুরপাড়া অংশে গুমাই বিলের অবস্থান। কথিত আছে, এই বিলে উৎপাদিত ফসল দেশের মানুষের তিন দিনের অন্ন জোগান দিতে পারবে। বর্ষায় সেখানে থইথই পানি থাকে। অন্য সময়ে চলে আবাদ। এখন বোরো ধান চাষের মৌসুম। বিলে পানি সেচে মাটি প্রস্তুত করতে চলছে জোর প্রস্তুতি। এ সময়ে বিলে আসে হাজারও বক। খাদ্য আহরণের জন্য তারা ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ায়।
স্থানীয়রা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে এবার বেশি বক উড়তে দেখা যাচ্ছে। শিকারিরা সুযোগ খুঁজলেও এলাকাবাসীর সচেতনতার কারণে শিকার করতে পারছে না। এতে বাধাহীন নিরাপদে উড়ছে বকের দল।
চন্দ্রঘোনার পাঠানগাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, গুমাই বিলে এক সময় ঝিল ছিল। তখন বিলজুড়ে ছিল মাছ আর মাছ। ওড়াউড়ি করত নানা প্রজাতির পাখি। এখন এগুলো শুধুই স্মৃতি।
চন্দ্রঘোনার ছুফিপাড়া গ্রামের মো. লোকমান বলেন, চাষাবাদের জন্য বিলে পানি দেওয়ার পর সাদা বক পোকামাকড় খেতে ছুটে আসে। স্থানীয় ভাষায় এই বককে ‘ধলা বোঘা’ বলে।
উপজেলা সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ জানান, বাংলাদেশে ১৮ প্রজাতির বক রয়েছে। এসব পাখি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাসহ নানান ভূমিকা রাখছে। মাছ ছাড়াও জলজ পোকামাকড় খেয়ে ফসলের উপকার করে থাকে বক। এ পাখির খাদ্য ও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য বক রক্ষা জরুরি।
রাঙ্গুনিয়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, বিলে পানি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাদা বক দল বেঁধে আসতে শুরু করেছে। বকের ওড়াউড়ি দেখতে বিলে পাখিপ্রেমীরা ভিড় করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, চলতি বোরো মৌসুমে জমি প্রস্তুতের সময় সাদা বক দলে দলে পোকামাকড় খাওয়ার জন্য বিলে বিচরণ করছে। এই পাখি চাষাবাদের জন্য খুবই উপকারী। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে বক রক্ষা করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, সাদা বক আমাদের এলাকায় অতিথি হয়ে আসে। এই পাখি শিকার করা যাবে না। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অবৈধভাবে পাখি শিকার করলে সাজার বিধান রয়েছে। যারা আইন অমান্য করে পাখি শিকার করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।