হাইকোর্টের রায়ে নিয়োগ বাতিল হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদপ্রার্থীদের লাঠিপেটা এবং জলকামান ব্যবহারে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এর আগে সকালে আন্দোলনকারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে করতে গত বৃহস্পতিবার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর প্রতিবাদে রাতেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। গতকাল সকালে একই স্থানে সমাবেশ করে তারা আবারও নিয়োগ নিশ্চিতের দাবি জানান। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিকেল ৩টার দিকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছাকাছি গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে বাধা উপেক্ষা করে নিয়োগপ্রত্যাশীরা যমুনার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন তারা। পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সেই সঙ্গে জলকামান থেকে পানি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

নিয়োগপ্রত্যাশী পিয়াস তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে পুলিশ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়েছে। অন্তঃসত্ত্বা এক নিয়োগপ্রত্যাশীকে পেটানো হয়েছে। আমরা নিয়োগ নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাই। 

রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আতিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এগিয়ে গেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

২০২৩ সালে তিন ধাপে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয় গত বছরের ৩১ অক্টোবর। সেখানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন। এ ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে ফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার পুরো নিয়োগ বাতিলের রায় দেন হাইকোর্ট।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জলক ম ন ন র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

মাসহ নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিলেন জিকে শামীম

অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নিজের ও তার মা আয়েশা আক্তারের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম।

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে তিনি এ সাক্ষ্য দেন । তবে এদিন সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১৮ মার্চ অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত ৫ মার্চ আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। তবে জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ