নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার রাতে দাউদপুর ইউনিয়নের পঞ্চগ্রাম ঈদগা মাঠে আয়োজিত এ ফুটবল টুর্নামেন্টে পূর্ব হাটাব (নাগদা) একাদশ বনাম দেবই পশ্চিম পাড়া একাদশ অংশ গ্রহণ করে।

পরে ট্রাইবেকারে দেবই পশ্চিমপাড়া একাদশকে হারিয়ে পূর্ব হাটাব (নাগদা) বিজয় লাভ করে। পরে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার হিসেবে রঙ্গিণ টিভি তুলে দেন অতিথিরা। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

এসময় দাউদপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী মুন্সির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাহমুদুল হাসান, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাউসার হামিদ (রোমান মাস্টার), ৯ং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তসুর উদ্দিন, দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইসরাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নয়ন সরকার, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নাঈম ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সৈকত রাজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ফ টবল ন র য়ণগঞ জ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই’—শেষ বার্তায় তামিম

যেভাবে ব্যাট করেছেন বোঝার কোনো উপায় ছিল না, কিছুক্ষণ পরই তিনি পাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সংবর্ধনা। নির্ভার থেকে এমন বিস্ফোরক ব্যাটিং একমাত্র তামিম ইকবালকে দিয়েই যেন সম্ভব। ওপেনিংয়ে নেমে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের ব্যাটিং বড় লক্ষ্যে পৌঁছানোর ভিত গড়ে দেয়। 

ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে বিতর্ক মোড়ানো অবসরের পর ফেরা না ফেরার সুতা ঝুলছিল প্রায় দেড় বছর ধরে। অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার পরই নিশ্চিত হয়ে যায় ইতি হচ্ছে তামিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। আনুষ্ঠানিক বিবৃতির পর শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টাইটেল জয়ের দিন তামিমকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। 

জার্সির স্মারক উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় খান সাহেবের হাতে। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে তামিম যেন কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে যান। ছলছল চোখে যেন ভেসে উঠছিল প্রায় দেড়যুগের ক্যারিয়ার। বাবার কথা স্মরণ করে বলেন, “আমার বাবার ইচ্ছে ছিল, একদিন আমি দেশের হয়ে খেলব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।“ 

বাংলাদেশকে অনেক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়া তামিম শোনালেন ক্রিকেটার হওয়ার পেছনের অনুপ্রেরণার কথা, “বাংলাদেশ যখন শিরোপা জিতল। পুরো বাংলাদেশের উপভোগটা ছিল অসাধারণ। ওই দিনই ঠিক করলাম, আমি ক্রিকেটার হব।”

উপস্থিত দর্শকদেরসহ কোটি ক্রিকেট ভক্তকে দিয়েছেন কড়া বার্তাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে তামিমের জানা, দেশের ভক্তদের বিভাজনের কথা। কেউ সাকিব আল হাসানের ভক্ত সাকিবিয়ান, কেউ মাশরাফি বিন মুর্তজার ভক্ত মাশরাফিয়ান। ভাগ হয়ে নিজেদের মধ্যেই লড়াতেই সময় কেটে যায়। তামিম তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দেশ সবার আগে। 

“তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের সমর্থক। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে। দয়া করে এটা থামান। আমরা যে কারও সমর্থক হতে পারি, কিন্তু সবাই বাংলাদেশি। এটাই আমার শেষ বার্তা।”

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলন কক্ষের দিকে হাটছিলেন তখন। পাশেই চেনা একজনকে দেখে বলে ওঠেন, “সুন্দর বলছি না?’’

ট্রফি জয়ের সঙ্গে বিদায়ী সংবর্ধনা, যেন পূর্ণতা পেলো সবই। এমন আত্মতৃপ্তির দিনে নিজের কথাকে নিজেই সুন্দর বলতেই পারেন! তাতে তৃপ্তি আরো বাড়ে! 

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ