ক্যারিয়ার জুড়ে ভক্তদের দারুণ সমর্থন পেয়েছেন তামিম ইকবাল। বিপিএলের চলতি আসরে ফরচুন বরিশালের ম্যাচ দেখতে ভিড় ছিল মিরপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে। ভক্তরা শুধু বরিশালের জন্য নয় গড়া ফাঁটাতে এসেছিলেন তামিম-মাহমুদউল্লাহর জন্যও।

তবে এই ভক্তকূল যখন তামিম, সাকিব কিংবা মাশরাফির নামের প্রতি বিভক্ত হন, তখন ক্ষতি হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের। ‘তামিমের সমর্থক গোষ্টী’ কিংবা ‘সাকিবের ভক্তকূল’ বিভাজন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। বিপিএল ফাইনালের সাজানো মঞ্চে সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা তামিমকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সেখানে এমনই বার্তা দেন তামিম।

ওই মঞ্চে সাকিব-তামিমকে সমর্থন না করে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন করার অনুরোধ করেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম, ‘ক্যারিয়ার জুড়ে ভক্তদের সমর্থন ছিল দারুণ। যেখানেই খেলতে গিয়েছি তাদের সমর্থন পেয়েছি। তবে ভক্তদের জন্য আমার একটা শেষ অনুরোধ থাকবে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালোবাসুন। এগুলো বন্ধ করুণ। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নষ্ট করছে। আমাদের (বাংলাদেশ ক্রিকেট) এই দলটা খুব তরুণ তাদের সমর্থন করুণ।’

বিপিএলের টানা দুই শিরোপা জয়ের জন্য দলের সকল ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ফরচুন বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিককে ধন্যবাদ দেন তামিম। জানান, তাকে নিজের মতো করে দল পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এছাড়া ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রিকেটে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকের মতো লোকজন দরকার।

এবারের বিপিএলে বরিশালের দল ছিল তারকাপূর্ণ। যে কারণে দেশি-বিদেশি অনেক ক্রিকেটার নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি। জিমি নিশামের মতো ক্রিকেটারকে দক্ষিণ আফ্রিকা লিগ থেকে উড়িয়ে এনে বেঞ্চে বসিয়ে রাখে বরিশাল। এছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্তকে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতে পারেননি তিনি।

পুরো টুর্নামেন্টে বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে ২০ বছর বয়সী ব্যাটার আরিফুল ইসলামকে। যিনি বিপিএলের আগের এনসিএল টি-২০’র অন্যতম শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন। আরিফুলকে খেলাতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তামিম। তার মতে, তরুণ এই ব্যাটারকে খেলাতে পারলে একজন স্টারের জন্ম হতো, ‘আরিফুলকে খেলাতে না পেরে আমি খুবই দুঃখিত। তাকে খেলাতে পারলে বাংলাদেশ আরেকজন সুপারস্টার পেত।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ব প এল ব প এল র জন য র সমর

এছাড়াও পড়ুন:

বন বিভাগ কার্যালয় ও ব্যারাকে তাণ্ডব: যুবদলের ২ নেতা বহিষ্কার

গাজীপুরের শ্রীপুরে বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়, বিট কর্মকর্তার অফিস ও বনকর্মীদের ব্যারাকে প্রকাশ্যে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় যুবদলের ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদলের ২ নেতাকে সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার হওয়া যুবদলের নেতারা হলেন- গাজীপুর জেলা যুবদলের সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান লিটন।

বহিষ্কৃত যুবদলের ওই দুই নেতার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর বাজার এলাকার রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাণ্ডব চালায় ভূমিদস্যুরা। ওই দুই অফিসের চেয়ার-টেবিল, আলমারির কাচ, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জানালার কাচসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভেঙে ফেলা হয় বনকর্মীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও। তাদের হামলায় আহত হন আক্তার হোসেন নামে বন বিভাগের এক ব্যারাক চৌকিদার।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম ও মশিউর রহমান লিটনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একদল যুবক হঠাৎ করেই রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র। দফায় দফায় তাণ্ডবের সময় বনকর্মীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করে নিজেদেরকে রক্ষা করেন। পুলিশ ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আড়াইশ গজ দূরে রাজেন্দ্রপুর বিট কর্মকর্তার কার্যালয়। এই দুই অফিসের পাশেই বনকর্মীদের বসবাসের ব্যারাক। প্রতিটিতেই হামলা চালায় তারা। এ ঘটনার পর শুক্রবার যুবদলের ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে বনবিভাগ একটি মামলা করেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ