গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, স্থানীয়দের মারধরে আহত ১৫
Published: 7th, February 2025 GMT
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাঁদের কয়েকজনকে আটক করে মারধর করেন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালান। তাঁরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এ সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের লোকজন বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তাঁরা ভাঙচুরকারী কয়েকজনকে মারধর করেন।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ ম ম ল হক র ব
এছাড়াও পড়ুন:
হিযবুত তাহরীরের মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন আটক
রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি থেকে বেশ কয়েকজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনের সড়কে কর্মসূচি শুরুর পর তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিযবুত তাহরীরের সমর্থকরা মিছিল শুরু করার কিছু সময় পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিভিন্ন গলিতে অভিযান চালিয়ে নাসির নামে একজনসহ আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। আটক নাছির যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মিছিলে অংশ নিতে এসেছেন বলে জানান।
যদিও আটকের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, তুরস্কে খিলাফত পতনের ১০১ বছরের প্রেক্ষাপটে ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি ডাক দেয় হিযবুত তাহরীর। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনের রাস্তায় জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ। ‘মুক্তির একপথ, খিলাফত খিলাফত’ স্লোগানে তারা মিছিল শুরু করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দিলে তাদের ঠেলে হিযবুত তাহরীরের লোকজন এগিয়ে যেতে থাকে। পল্টন মোড়েও তাদের বাধা থামাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। বিজয়নগর পানির পাম্প মোড় প্রদক্ষিণ করে পল্টনের দিকে এগোলে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। সেই টিয়ারশেল উপেক্ষা করে মিছিলটি পল্টন ময়দানে গেলে পুলিশ তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।