Samakal:
2025-03-10@09:54:26 GMT

সাজানো মঞ্চের নায়ক তামিম

Published: 7th, February 2025 GMT

সাজানো মঞ্চের নায়ক তামিম

মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেননি তামিম ইকবাল। অবসরের সঙ্গে মিশে আছে বিশাদের গল্প। বিপিএল ফাইনালের ভরা গ্যালারিতে ওই তামিমকে দেওয়া হয় বিদায়ী সংবর্ধনা। সঙ্গে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়ে টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন করে এবং ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়ে সাজানো মঞ্চের নায়ক বনে গেছেন তামিম। 

বিপিএলের ফাইনালে জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো তামিমের দলের। পূর্বে ১৯০ রানের গন্ডি মাড়িয়ে জিততে পারেনি কোন দল। ওই বৃত্ত ভাঙতে শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন তামিম। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটিতে একাই যোগ করেন ২৯ বলে ৫৪ রান। নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কায় সাজান ঝড়ো ইনিংস। 

ফাইনালের আগে তামিম বলেছিলেন, জিততে হলে নির্ভার থাকবে হবে। একাদশ সাজাতেই ঠান্ডা মস্তিষ্কের প্রমাণ দেন তিনি। ফাইনালের জন্য জিমি নিশামকে উড়িয়ে আনলেও তাকে বেঞ্চ করে পেসার মোহাম্মদ আলীকে রাখেন একাদশে। তাকে কাজেও লাগিয়েছেন পরিকল্পনা মাফিক। যার ফলাফল- বড় রানের ম্যাচে পাকিস্তানের আলী ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। 

বিদায়ী সংবর্ধনা মঞ্চেও শক্ত বার্তা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাকিব, তামিম, মাশরাফির সমর্থক না হয়ে তরুণ এই দলটাকে সমর্থনের অনুরোধ করেছেন তিনি, ’ক্যারিয়ার জুড়ে ভক্তদের সমর্থন ছিল দারুণ। সেখানেই খেলতে গিয়েছি তাদের সমর্থন পেয়েছি। তবে ভক্তদের জন্য আমার একটা শেষ অনুরোধ থাকবে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালোবাসুন। এগুলো বন্ধ করুণ। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নষ্ট করছে। আমাদের এই দলটা খুব তরুণ তাদের সমর্থন করুণ।’ 

তামিমের জন্য সাজানো বিদায়ী সংবর্ধনা মঞ্চে স্মৃতিচারণ করেন সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। বিপিএলে তামিমের দল বরিশালে খেলা মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমরা মাঠ থেকে তার জাদুকরী ব্যাটিং দেখিছে। অনেক বছর দেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। তার কারিশমা মিস করা হবে। মুশফিক জানান, তামিম বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা ব্যাটার। তামিম সবার প্রতি খুবই দয়ালু। এটাই তার ব্যক্তিত্ব।

তামিমের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন তার স্ত্রীও। এ সময় তামিমের হাতে জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের জার্সি স্মরক হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন দুই সন্তান এবং বড় ভাই নাফিস ইকবাল ও তার পরিবার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল র সমর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ শহরে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী খুন

নারায়ণগঞ্জে তুচ্ছু ঘটনায় অপূর্ব (২৫) নামে এক ছাত্রদলের কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। 

রোববার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় শহরের  চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সম্রাট (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে  বিক্ষুদ্ধ জনতা। 

নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব শহরের মাসদাইর এলাকার খোকনের ছেলে। এবং  আটক মো.সম্রাট শহরের গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। 

আটক সম্রাট বলেন, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় তারা কয়েকজন আমাকে আটকিয়ে মারধর করে। আমি কিছুই জানি না। একপর্যায়ে আমাকে মেরে নিচে ফেলে দেয়। এরপর কিভাবে কি হয়, আমি কিছু জানি না। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ হতে ধর্ষণ বিরোধী মশাল মিছিল বের করি। আমাদের মিছিল শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা যখন বাসায় যাচ্ছিল তখন বালুরমাঠ এলাকাতে অপূর্বকে ছুরিকাঘাত করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, অপূর্ব আমাদের ছাত্রদল কর্মী ছিলো। ওই সময়ে তাকে ছুরি মারা এক যুবককে আটক করে আশেপাশের লোকজন। সকলে তখন তাকে উত্তম মধ্যম দিচ্ছিল। আমরা আইন নিজের হাতে না তুলে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। পরে আহত অপূর্বকে খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল শেষ হয়। তখন মিছিলে অংশ নেয়া অনেকেই প্রেসক্লাবের দক্ষিণ পাশের সড়ক হয়ে বালুর মাঠের দিকে যেতে থাকে। এসময় এক যুবক বলে ৫ আগস্টের আগে এরা কোথায় ছিল? এখন মিছিলে আসছে। এ কথা বলার সাথে সাথে যাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছে সেই ছেলে  পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে ওই যুবককে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এ সময় ঘাতক যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে দেয়।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নিহত ব্যক্তি ছাত্রদলের কেউ না। সে এক রেস্তোয়ায় কাজ করতো। মূলত তার সঙ্গে এক গার্মেন্টকর্মীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ