রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরের দায় অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরীর শোকসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে সিপিবি। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ঢাকার নিজ বাসভবনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

শোকসভার সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা তো আরও বহু, হাসিনার আস্তানা তো বহু জায়গায় ছিল। এটা (৩২ নম্বর) তো হাসিনার আস্তানা না। এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাসা।’

হাসিনা পুলিশি রাষ্ট্র কায়েম করেছিল, সেটা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত শত্রু ছিল গণতন্ত্রবিরোধী সরকার।  

দেশের পরিস্থিতি প্রতিদিন জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। ‘কতসব খেলা চলছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আক্রমণ আসছে, বুর্জুয়া দলের ওপর নির্ভর করে সেই আক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে না।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরের দায় সরকার এড়াতে পারে না মন্তব্য করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন। ‘গণ–অভ্যুত্থানের চেতনা কোনো গোষ্ঠীর কাছে ইজারা দেননি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা কিছু বললেই মব তৈরি করবে। দেশ–বিদেশ থেকে উসকানি দেওয়া হবে। সরকার সহযোগিতা করছে না বললেও প্রকারান্তরে তাঁদের প্রশ্রয় ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না।’

বামজোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা ঘোষণা দিয়ে সারা দেশেই এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের স্লোগান থেকে পরিষ্কার তারা আসলে কারা।
সহিদুল্লাহ চৌধুরী শিক্ষায় সব সময় গুরুত্ব দিতেন বলে উল্লেখ করেন তাঁর সন্তান তারেকুজ্জামান চৌধুরী।  

শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি আবদুস সবুর, নারীনেত্রী লক্ষ্মী চক্রবর্তী, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা প্রমুখ।

সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ শোকসভাটি সঞ্চালনা করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আটক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে মাকসুদ মজুমদার (৩৯) ও মনির হোসেন (৩৭) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের সরকার বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক মনিরের বাড়ি সুলতানগঞ্জ ও মাকসুদের বাড়ি নীলগঞ্জ গ্রামে। মাকসুদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মনির নীলগঞ্জ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মাদকসহ আটক

বোনের বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, এবার দুলাভাই আটক

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল সরকার বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে ৭-৮টি ঘর রয়েছে। ডাকাতদল ওই বাড়ির নীল কান্তি সরকারের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ গিয়ে ওই ঘর থেকে দুজনকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় বাকিরা।

সরকার বাড়ির মিঠুন সরকার বলেন, ‘‘১০-১২ জনের ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে আমার ঘরের সামনে গিয়ে দরজায় লাথি মারে। এ সময় জানালা দিয়ে লাইট মেরে তাদের হাতে অস্ত্র দেখতে পাই। পরে তারা আমার ঘরের কাছ থেকে সরে গিয়ে নালিকান্তি সরকারের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির সবাই একত্রিত হয়ে তাদের ওই ঘরের মধ্যে আটকে ফেলি। এর আগে, প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়।’’

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে, মাকসুদ আগে থেকেই পুলিশের সন্দেহেরে তালিকায় ছিল।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ