হুট করে নয়, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দিন: সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম
Published: 7th, February 2025 GMT
হুট করে নয়, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এই আহ্বান জানান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে ‘নগর সম্মেলন ২০২৫’ আয়োজন করে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের বাইরে নির্বাচন দিলে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। হুট করে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। তাড়াহুড়া করা যাবে না নির্বাচনের জন্য।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামের পক্ষে একটি ভোট বাক্সের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত। আর একমাত্র সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতীয় সরকার গঠন সম্ভব। আমরা দ্বিতীয় কোনো ফ্যাসিস্ট চাই না। সংসদে বসে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কথা শুনব। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া উচিত। কোনো দল যদি ১ শতাংশ ভোটও পায়, তার প্রতিনিধি সংসদে থাকবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসের কিংবদন্তিতুল্য আখ্যান। দেড় হাজারের অধিক নিহত এবং ৩০ হাজারের অধিক আহত ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে সৃজিত হয়েছে নতুন ইতিহাস। যুগান্তকারী এই ইতিহাস বিনির্মাণে অংশ নিয়েছে জাতি-ধর্ম-শ্রেণি-পেশা-নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলেম-উলামা এবং মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরাও। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।’
নগর সভাপতি মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নগর সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ। সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের ২০২৫-২৬ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিনিয়োগ সম্মেলনে ওয়ালটন পেল ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’
বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড এবং টেক জায়ান্ট ওয়ালটন অর্জন করল ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য এবং প্রভাবশালী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ওয়ালটনকে ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স) ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
বুধবার (৯ এপ্রিল, ২০২৫) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিডা আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কারের ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেছেন, ওয়ালটন টেকসই প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং নিত্যনতুন উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিক্স ও হাই-টেক শিল্প খাতে দেশে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। আমদানি-বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন বাংলাদেশে নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের ৫০টি দেশের অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫’ এর উদ্বোধনী দিনে ওয়ালটনকে ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দেওয়া হয়েছে। ওয়ালটনকে এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেওয়ায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
তিনি আরো বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে ওয়ালটন সর্বদা কাজ করছে। তাই, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের নতুন নতুন যে অটোমেশন প্রযুক্তি আছে, সেগুলোতে বেশি করে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটনের পদচারণা বাড়াতে ব্যাপকভাবে কাজ চলছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং পণ্যে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হচ্ছে। উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, ওয়ালটন একটি সবুজ ও কার্বন-শূন্য বাংলাদেশ গড়তে সরকারের ভিশনের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতির আলোকেই ইতোমধ্যে গাজীপুরে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে নেট মিটারিং নির্দেশিকায় ৬.৫ মেগাওয়াট রুফটপ সোলার প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে এবং আরো ১৩.৫ মেগাওয়াট প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই মুহূর্তে ওয়ালটন শিল্প স্থাপনায় মোট ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করার মতো পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রচলিত শক্তির ওপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা সম্ভব হবে।
গত ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিনিয়োগ খাতে বিশেষ অবদান এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরো বেশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সফল বিনিয়োগকারীদের ‘এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দিয়েছে বিডা।
ঢাকা/একরাম/সাহেল/রফিক