সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্যকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা তুলে ধরেছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক (ডাবলু) ওই বিবৃতিতে বেনজীর আহমেদের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক সাবেক আইজিপি (মহাপরিদর্শক) বেনজীর আহমেদ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। বক্তব্যটি পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারিত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্যক্তির দায়ভার কখনো কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও দুদকের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বেনজীর আহমেদ। তাঁর মতো একজন ব্যক্তির পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্য মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।

বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে, জন–আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে, জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে সব সদস্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ও দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। পুলিশের যেসব বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাঁদের বিচারের বিষয়ে পুলিশের সব সদস্য একমত পোষণ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ষড়যন ত র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জেলেনস্কিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার ইউক্রেনের বিরোধী নেতাদের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা গতকাল বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের বিরোধীদলীয় নেতারা। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হোয়াইট হাউসের কথিত ষড়যন্ত্রে তাঁদের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা।

ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু যুদ্ধচলাকালে ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ট্রাম্প যে দাবি জানিয়েছেন, তার বিরোধিতা করেছেন তিনি।

২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেলেনস্কির কাছে পরাজিত হওয়া পোরোশেঙ্কো আরও বলেছেন, ইউক্রেনে জারি করা সামরিক আইনের মেয়াদ শেষ হলেই শুধু নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।

এদিকে ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ুলিয়া টিমোশেঙ্কো বলেছেন, তিনিও যুদ্ধচলাকালে নির্বাচন দেওয়ার বিপক্ষে। তিনি আরও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব শান্তি স্থাপনে যেসব মিত্রদেশ সহযোগিতা করতে পারে, তাদের সবার সঙ্গে তাঁর প্রতিনিধিদলের কথা হয়েছে।

অনলাইন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কিকে উৎখাত করতে হোয়াইট হাউসের চেষ্টার অংশ হিসেবে গোপনে আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রতিনিধিদলের চার জ্যেষ্ঠ সদস্য আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। তাঁরা মনে করেন, ইউক্রেনে নির্বাচন হলে জেলেনস্কি এখন হারবেন।

আরও পড়ুনআলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে জেলেনস্কি চিঠি পাঠিয়েছেন: ভাষণে জানালেন ট্রাম্প০৫ মার্চ ২০২৫

ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী, দেশে সামরিক আইন জারি থাকা অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত থাকবে। যা–ই হোক, রাশিয়ার ছড়ানো অপতথ্যই গত মাসে ট্রাম্পের কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন স্বৈরশাসক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেনে জেলেনস্কির মাত্র চার শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারাও দাবি করছেন যে ইউক্রেনের নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওভাল অফিসে জেলেনস্কিকে নাজেহাল করেছেন ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তাঁদের অভিযোগ, জেলেনস্কি শান্তি চান না।

আরও পড়ুন‘অনুতাপ’ জানিয়ে জেলেনস্কি বললেন, ট্রাম্পের ‘বলিষ্ঠ নেতৃত্বের’ অধীনে কাজ করতে প্রস্তুত আছেন০৪ মার্চ ২০২৫

গতকাল ট্রাম্পের মিত্র ও শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এতে জেলেনস্কির বড় ধরনের পরাজয় হবে।’

তবে ব্রিটিশ জরিপ প্রতিষ্ঠান সারভেশনের জরিপ অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছেন জেলেনস্কি। সম্প্রতি ওভাল অফিসে ট্রাম্পের কাছে নাজেহাল হওয়ার পর দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এখন জেলেনস্কির প্রতি ৪৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে। এ ছাড়া পোরোশেঙ্কোর প্রতি ১০ শতাংশ ও টিমোশেঙ্কোর প্রতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাটমোহরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ
  • ভাসানী বললেন ‘লা-কুম দ্বীনুকুম অলইয়াদ্বীন’
  • কোন ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না, সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করব : সজল 
  • ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা
  • জেলেনস্কিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার ইউক্রেনের বিরোধী নেতাদের